তানোরে ৩ এ্যম্বুলেন্সের চালক একজন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১; সময়: ২:৫৭ অপরাহ্ণ |
তানোরে ৩ এ্যম্বুলেন্সের চালক একজন

সাইদ সাজু, তানোর : রাজশাহীর তানোরে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স চলছে মাত্র একজন চালক দিয়ে। এর মধ্যে দুটি নতুন ও একটি পুরোনো। চালকের অভাবে প্রতিনিয়ত পড়ে থাকছে দুটি আ্যাম্বুলেন্স। দীর্ঘদিন ধরে চালক সংকটে রয়েছে রাজশাহীর তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।

এ কারণে সময়মতো চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখেরও অধিক মানুষ। জরুরি সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে রোগী নিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের স্বজনরা। এতে বাড়তি ভাড়া গোনার পাশাপাশি চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগেও তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছিল ৩১ শয্যাবিশিষ্ট। তখন হাসপাতালে ছিল একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স। পরে সেই অ্যাম্বুলেন্স দূর্ঘটনায় কবলিত হওয়ার পর নতুন করে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আর দূর্ঘটনায় ভেঙেচুরে যাওয়া সেই অ্যাম্বুলেন্সটি সারানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় হাসপাতাল চত্বরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে পড়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের মূল্যবান যন্ত্রাংশ।

এরপর হাসপাতালটি ৫০ শয্যা উন্নীত হওয়ার পর ২০২০ সালে উপজেলা পরিষদের বিশেষ বরাদ্দে একটি ও ২০২১ সালে কোনো পদ সৃষ্টি না করেই বিশেষ সুযোগ সুবিধাযুক্ত আরও একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ওই সময় উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ও ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেন।

বর্তমানে হাসপাতালে আবদুস সালাম নামে একমাত্র চালক রয়েছেন। তিনি একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স চালান। রোগীর চাপ থাকলেও শুধু চালকের অভাবে পড়ে থাকছে আরও একটি নতুন ও একটি পুরোনো অ্যাম্বুলেন্স।

এতে রোগীদের দূর্ভোগের পাশাপাশি সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানান্তরিত রোগীদের পরিবহনের জন্য স্বজনদের ছুটতে হচ্ছে প্রাইভেট গাড়ির কাছে। আর সুযোগ বুঝে প্রাইভেট গাড়িগুলো সরকারি ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে রোগীদের কাছ থেকে।

যেখানে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে বিনা মূল্যে অক্সিজেন সুবিধা পাওয়া যায়, সেখানে বাইরের অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে বেশিভাড়া দেওয়ার পাশাপাশি অক্সিজেনের জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় রোগীদের।

বিপদে পড়ে বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়েই উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়মিত রোগী পরিবহন করছেন রোগীর স্বজনরা। খোঁদ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ও হাসপাতাল চত্বরেই দাঁড় করে রাখা হচ্ছে বেসরকারি মালিকদের অ্যাম্বুলেন্স।

অথচ গ্যারেজে পড়ে থাকছে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। ফলে ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বাঁনাবাস হাসদাক বলেন, একটি পুরোনো ও দুটি নতুন মিলিয়ে হাসপাতালে মোট অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে তিনটি।

কিন্তু চালকের পদ রয়েছে একজন। তবে, হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ড্রাইভার নিয়োগ দিলে অ্যাম্বুলেন্সগুলো চালানো সম্ভব হতো। পাশাপাশি কম খরচে স্থানান্তরিত রোগীরা ভালো সেবা পেতেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে