চারঘাট পৌরসভা বিএনপি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১; সময়: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ |
চারঘাট পৌরসভা বিএনপি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তাসহ ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সে নিশ্চয়তার দাবিতে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চারঘাট পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম বিকুল। শক্রবার বিকেলে নগরীর বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের নিকট এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা মিজানুর রহমান মিনু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দুইদিন রাজশাহীতে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনি তো ঘর থেকে বের হন না। ঘরে থেকেই মাঝে মাঝে মুখ বাড়িয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সরকার, জনগণের সরকার। বাইরে বের না হলে তো আপনি বুঝতে পারবেন না যে আওয়ামী লীগ কার সরকার আর কেমন সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে।

লিখিত ব্যক্তব্যে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী বিকুল জানান,গত ১৩ ফেব্রুয়ারী আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালালেও তাদের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়েছে। এরপর থেকে নির্বাচনি কার্যক্রমে বাধা দেয়া হচ্ছে। প্রচার মাইক ভেঙ্গ ফেলা ও পোষ্টার লিফলেট পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।নারী কর্মীদের শরিরিক ভাবে নির্যাতন ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়া ঠেকাতে হুমকি দেয়া হচ্ছে ।

বিএনপির মনোনিত প্রার্থী বিকুল আরো বলেন, বিগত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে অনুমানিক সকাল ৭টার দিকে চারঘাট বাজারে আমার পোস্টার লাগানাের সময় আমার প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর লোকজন লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চারঘাট বাজারে অবস্থান নেয়। এরপরে সকাল সাড়ে ১০ টার সময় আমি মায়ের কবর জিয়ারত করে প্রচার-প্রচারণার উদ্যেশ্যে নেতাকর্মীসহ চারঘাট বাজারের দিকে রওনা হলে পূর্ব থেকে অবস্থান করা আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর লোকজন আমার প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে আমি এবং আমার নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তারা এসময় দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি ককটেল নিক্ষেপ করে আমাদের নিরস্ত্র নেতা কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক আইনেসহ দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই আমার সকল নির্বাচনি কার্যক্রমে তার বাধা দিচ্ছে ।

সংবাদ সম্মেলনে বিকুল আরও অভিযোগ করেন, প্রচার কাজে নিয়োজিত মাইক ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। পোস্টার লাগানোর পরে তা ছিড়ে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এবং প্রচার কাজে নিয়োজিত নারী কর্মীদের এলাকয় লিফলেট বিতরণের সময় শারীরিকভাবে নির্যাতন করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। একই তার নেতাকর্মীদের এলাকা থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমার পৌর এলাকার সকল নেতা কর্মীদের হুমকি প্রদান ভয়ভীতি প্রদর্শন, পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলাবাীহনী কর্তৃক মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমার সমর্থক ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে ভােট দিতে না যাওয়ার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। প্রকাশ্যে তারা বলে বেড়াচ্ছে ভোটের দিন তারা সকল ভােট কেন্দ্র দখল করে নিবে। আমাকে উদ্যেশ্য করে বিভিন্ন পথ সভায় হুমকি দিচ্ছে। এ কারণে আমি আমার এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন পর করছি।

সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, সাবেক জেলা যুবদলের নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জল, নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • 16
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে