সব উপজেলায় স্থাপন হচ্ছে ‘আইসিটি হাব’

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২০; সময়: ৪:৫৭ অপরাহ্ণ |
সব উপজেলায় স্থাপন হচ্ছে ‘আইসিটি হাব’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেশে প্রতিটি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনে তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো ‘আইসিটি হাব’ স্থাপনে স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করেছে তথ্য ও যোগাযাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে।

রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম একটি সমঝোতা স্বারকে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারের সেবা ই-সেবায় রূপান্তরের মাধ্যমে জনগণের কাছে দ্রুত ও সহজে পৌঁছে দেওয়া এবং সব ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার বাড়াতে এ অবকাঠামো স্থাপন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “দেশের ছয় হাজার ৬৬২টি ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রতি মাসে ৬০ লাখ মানুষ ২৭০ রকমের সেবা পাচ্ছে। একটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অপর মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে সরকারের সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। তার অন্যন্য উদাহারণ হচ্ছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার।”

তিনি জানান, সারা দেশে ৫৫৫টি ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। গত কয়েক বছর ধরে এ প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

“আগামীতে প্রযুক্তি বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে তৈরি করতে চাই, জনগণকে সেবা দিতে চাই। এজন্য ৫ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পে হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মধ্যে ৫৫৫টি ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। উপজেলায় ৪৯১টি, জেলা পর্যায়ে ৬৪টি স্থাপনা হবে। প্রতিটি উপজেলায় এক কোটি ৪০ লাখ টাকা করে মোট ৭০৬ কোটি টাকা খরচ হবে।”

স্থানীয় সরকার বিভাগ এ সুযোগ দেওয়ায় খরচ পাঁচগুণ কমে যাচ্ছে জানিয়ে পলক বলেন, “নতুন জমি ও ভবন উঠাতে অনেক খরচ হত। বর্তমানে যে চারতলা উপজেলা পরিষদ ভবন আছে তার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশন অধিদপ্তরকে দিয়ে ৪ হাজার বর্গফুটের ৫৫৫টি ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করবো।

“পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে এক লাখ নয় হাজার ২৪৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফাইবার ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া হবে এ প্রকল্পের আওতায়।”

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, “উপজেলা পর্যায়ে এ ধরণের সুযোগ চালু হলে সেবা গ্রহণ আরও সহজ হবে। তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা যত দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যাবে, সেবা তত সহজ হবে। নবনির্মিত উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করে পঞ্চম বা ষষ্ঠ তলায় চার হাজার বর্গফুট করে ফ্লোর এরিয়া তৈরি করা হবে।”

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পরিকল্পনা অনুযায়ী চার হাজার বর্গফুটে কম্পিউটার ল্যাব ৮০০ বর্গফুট, নেটওয়ার্ক অপারেশন সেন্টার ৫০০ বর্গফুট, অফিস কক্ষ ৭০০ বর্গফুট, প্লাগ অ্যান্ড প্লে সার্ভিস এক হাজার বর্গফুট এবং স্টার্টআপের জন্য এক হাজার বর্গফুট জায়গা থাকবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে