সেঞ্চুরি না পেলেও সিরিজটা যেভাবে কাটিয়েছেন, তা নিয়ে ম্যালান গর্বিত হতেই পারেন। আগের ম্যাচেও ৫৫ রানের ইনিংসে দলকে জিতিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা, পুরস্কারটা পেলেন কালও। সঙ্গে সিরিজসেরার পুরস্কারও। একটু বেশি বয়সে অভিষেক হলেও ম্যালানের ১৯ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সংখ্যাগুলোও দারুণ: ১ সেঞ্চুরি, ৯ ফিফটি, ৮৫৫ রান, গড় ৫৩.৪৩, স্ট্রাইক রেট ১৪৯.৯৭। এমনি এমনিই তো বাবর আজম-বিরাট কোহলিদের পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে নন ৩৩ বছর বয়সী ইংলিশ ব্যাটসম্যান!
ম্যালানের সঙ্গে কাল বাটলার যোগ দিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছেন। ম্যালানের ৯৯ রান এসেছে মাত্র ৪৭ বলে, ১১ চার ও ৫ ছক্কায়। তুলনায় বাটলার একটু ‘ওয়ানডে’ গতির—৬৭ রান করেছেন ৪৬ বলে। চার মেরেছেন ৩টি, ছক্কা ৫টি। দক্ষিণ আফ্রিকার ১৯১ রানের জবাবে চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে দলকে ২৫ রানে রেখে ওপেনার জেসন রয় (১৬ রান) বিদায় নিলেও এ দুজনে সেখান থেকে মিলে অনায়াস জয়ই এনে দেন ইংল্যান্ডকে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১৬৭ রানের জুটি টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ।
দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৬৭ রানের জুটিতে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন বাটলার (ডানে) ও ম্যালান। দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৬৭ রানের জুটিতে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন বাটলার (ডানে) ও ম্যালান। ছবি: রয়টার্স বাটলার-ম্যালানের কারণে বৃথা গেল দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে রাসি ফন ডার ডুসেনের দারুণ ইনিংস। সিরিজ তো আগেই হাতছাড়া হয়েছে, কাল তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না দক্ষিণ আফ্রিকা।
অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক ও তিনে নামা রিজা হেনড্রিকস ফিরেছেন অল্প রানে, আরেক ওপেনার টেম্বা বাভুমা করেছেন ৩২ রান। দশম ওভারের তৃতীয় বলে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে হেনড্রিকস যখন ফিরছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৬৪। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১২৭ রানের জুটি গড়েন ফাফ ডু প্লেসি ও ফন ডার ডুসেন।
ডু প্লেসি ৩৭ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ফন ডার ডুসেন আরও আগ্রাসী। ৭৪ রান করেছেন মাত্র ৩২ বলে। ২৩১.২৫ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটিতে চার ৫টি, ছক্কাও ৫টিই। তাঁর ঝড়েই ১৯২ রানের লক্ষ্য দিয়ে হয়তো বিরতিতে একটু স্বস্তিতেই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউল্যান্ডসের এই মাঠে যে পরে ব্যাটিং করে ১৯০ রান এর আগে কোনো দল তুলতে পারেনি। কিন্তু এই রেকর্ডকে কেমন ভ্রুকুটি করল ম্যালান-বাটলারের বিশ্ব রেকর্ড গড়া জুটি!