রাজশাহীতে ছাঁদে মরু উদ্ভিদ সংগ্রহে সাড়ে তিনশ প্রজাতির ক্যাকটাস

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০; সময়: ৮:৩৮ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে ছাঁদে মরু উদ্ভিদ সংগ্রহে সাড়ে তিনশ প্রজাতির ক্যাকটাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেট্রপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট ও তার দুই ন্ধুর একজন বিপণন কর্মকর্তা আর অন্যজন নার্সারির মালিক। ছোট থেকেই তাদের ছিল গাছের প্রতি ভালোবাসা। যা পরবর্তীতে রূপ নেয় ক্যাকটাস সখেন বাগান গড়ার ও সংগ্রহে রাখার। শখের বশে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম শুরু করেন ক্যাকটাসের বাগান ছাদে। তিলে তিলে শখে ও অতি যন্তসহকারে আস্তে আস্তে তাদের সেই ক্যাকটাস বাগানে বর্তমান সংগ্রহে রয়েছে সাড়ে তিনশ প্রজাতির বিভিন্ন ক্যাকটাস।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অফিসের কাজ শেষে প্রিয় ক্যাকটাসের ছাদের বাগানে। ছোট বেলা থেকেই ছিল গাছের প্রতি ভালোবাসা, সেই ভালোবাসা থেকেই শুরু হয় ক্যাকটাস সংগ্রহ করা। তবে ভাড়া বাসার ছাদে ক্যাকটাস চাষের অনুমতি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েন তিনি। এমন অবস্থায় পরিচয় হয় ক্যাকটাস সংগ্রাহক বিপণন কর্মকর্তা বিভূতি ভূষণ ও নার্সারির মালিক ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে। পরে তিনজনে রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকায় একটি ছাদ ভাড়া নিয়ে গড়ে তুলেছেন শখের ক্যাকটাস বাগান।

তৌহিদুল ইসলাম জানান, ছোটবেলা থেকেই গাছের প্রতি ভালোবাসা ছিল আমার একটু বেশি। সেই থেকেই সংগ্রহ করতে থাকি বিভিন্ন গাছ। নতুন প্রজাতির ক্যাকটাস উদ্ভাবন ও রক্ষণাবেক্ষণে ডিউটি শেষে বাগানে গিয়ে পরিচর্জা করতে থাকি ক্যাকটাসের। এ মরু উদ্ভিদ টিকিয়ে রাখতে পলিথিনের সেড নির্মাণ, গাছের কাঁটা পর্যবেক্ষণ ও মাটি পরিবর্তনসহ বিভিন্ন যত্ন নিয়ে তারা তিনজন বন্ধু মিলে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন সাড়ে ৩০০ বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাকটাসের বাগান।

তৌহিদুল আরো বলেন, অফিস শেষ করে বাসায় এসে ছাদে যাই। ছাদ থেকে ঘরে যেতে রাত ১টা বেজে যায়। তারপরেও শখের বসে চলছে এ ক্যাকটাস বাগান।

ক্যাকটাস বাগানের আরেক উদ্যোক্তা বিভূতি ভূষণ সরকার জানান, বীজ উৎপাদন, সেখান থেকে নতুন প্রজাতির ক্যাকটাস উদ্ভাবন, সেই সঙ্গে ক্যাকটাসের জন্য পলিথিনের শেড নির্মাণ, গাছের কাঁটা পর্যবেক্ষণ, মাটি পরিবর্তন-সব কিছু আমরা তিনজন মিলেই করতে হয়। প্রথমদিকে এই মরু উদ্ভিদকে বসে আনতে বেশ বিপাকে পড়তে হয়। পরবর্তীতে ভারতীয় এক সংগ্রাহকের পরামর্শে আসে আমাদের এ সখের ক্যাকটাস বাগানের সফলতা।

নার্সারি মালিক ইসমাইল হোসেন জানান, আগামীতে ক্যাকটাসের এই সংগ্রহশালাটি ২ হাজার প্রজাতিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে এটিকে বাণিজ্যিকভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও আছে আমাদের। তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে একটি ক্যাকটাস পার্ক গড়ে তুলতে চাই। যেখানে দেশ-বিদেশের মানুষ এসে ক্যাকটাসের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে। ক্যাকটাস সম্পর্কে তারা জানবে।

  • 522
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে