রাজশাহীসহ ছাত্রলীগের ১০৯ কমিটিই মেয়াদোত্তীর্ণ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০; সময়: ৮:০৯ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীসহ ছাত্রলীগের ১০৯ কমিটিই মেয়াদোত্তীর্ণ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ছাত্রলীগের ১১১টি সংগঠনিক জেলার মধ্যে রাজশাহীসহ ১০৯টি কমিটিই মেয়াদোত্তীর্ণ। কেন্দ্রীয় কমিটিতে শূন্য ৬০ টি পদ। বন্টন হয়নি সাংগঠনিক দায়িত্ব, হয়নি একটি সাধারণ সভাও।

ছাত্রলীগের ১১১টি সংগঠনিক জেলার মধ্যে ১০৯টির কমিটিই মেয়াদোত্তীর্ণ। আর ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৬০টিরও বেশি পদ শূন্য। কমিটি ঘোষণার বছর পেরিয়ে গেলেও বন্টন হয়নি সংগঠনিক দায়িত্ব। মাসে একটি সাধারণ সভা হওয়ার কথা থাকলেও গত একবছরে হয়নি একটিও। দলীয় কর্মসূচিতে পদবঞ্চিতরা নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও অনেক কমর্সূচিতেই থাকেন না সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের অঞ্চল ও দায়িত্ব ভাগ করে না দেয়ায় মধুর ক্যান্টিনে আসা-যাওয়া আর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ছাড়া অন্য কোন সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছেন না পদধারীরা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের জেলাভিত্তিক দায়িত্ব বন্টনের যে বিষয়টি সম্পন্ন করার কথা ছিল তা করা হয়নি। প্রায় দুই বছর হলেও এই কার্যক্রন না হওয়াটা দুঃখজনক। কেন্দ্রীয় কমিটির শুন্য পদে যোগ্য ও বঞ্চিতদের পদায়নের কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, ছাত্রলীগের যখন পূর্ণাঙ্গ কমটি হয় তখন অনেক সক্রিয় নেতাকর্মীদের যোগ্যতা থাকলেও তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদকনকিবুল ইসলাম সুমন বলেন, যারা ছাত্রলীগকে দেখভাল করেন তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যারা যোগ্যতা সম্পন্ন আছেন খালি পদগুলোতে তাদের পদায়ন করবেন। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য এতোদিন হয়ে গেলেও এটি সম্পন্ন হয়নি, এটি না হলে পরবর্তীতে আমরা কি কর্মসূচি দিব তা আমরা এখনো জানি না।

নিয়মানুযায়ী মাসে একটি সাধারণ সভা হওয়ার কথা থাকলেও নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেয়ার একবছর পূর্ন হলেও হয়নি একটি সভাও।

আগস্টের প্রথম প্রহরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পনের কর্মসূচিতে সাধারণ সম্পাদক ও পদবঞ্চিতসহ হাতে গোনা কজন উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না সভাপতিসহ অনেক পদধারী নেতা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করি। তবে অনেক পদধারী অনেক নেতাই ছাত্রলীগের অনেক কর্মসূচিতে অংশ নেয় না। আমরা যারা পদবঞ্চিত রয়েছি আমরা নিয়মিতই কিন্তু সব কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছি।

এদিক ছাত্রলীগের ১১১টি সংগঠনিক জেলার মধ্যে ১০৯টি কমিটিই মেয়াদোত্তীর্ণ। ১০ বছর আগে হয়েছিল বরিশাল মহানগর ও জেলা কমিটি। ২০১৪ সালে হয়েছিল রাজশাহী মহানগর ও জেলা কমিটি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম বলেন, দীর্ঘমেয়াদে নেতৃত্ব থাকার ফলে অনেক নেতাকর্মী অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। আমরা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে বার বার বলেছি মেয়াদ উত্তীর্ন কমিটি ভেঙ্গে নতুন নেতৃবৃন্দের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে হবে। তাহলেই সংগঠনের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

বিভিন্ন সাংগঠনিক সমস্যা সমাধানসহ মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি গঠন করা হবে, বলছে ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, একমাসের ভেতরতো সকল কমিটি করা সম্ভব নয়,তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি আমরা এখন করতে পারবো না। যেসব জায়গায় সাংগঠনিক কোন কমিটি নেই এবং সম্মেলন হয়েছে কিন্তু কমিটি দেয়া হয়নি সেগুলোকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা কমিটি দেয়া শুরু করবো।

  • 4
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে