টেন্ডার ছাড়াই কাজ করেন নওহাটা পৌর মেয়র
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শেখ মো. মকুবল হোসেন বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ প্রকল্প নীতিমালা লঙ্ঘন করে টেন্ডার ছাড়াই ভুয়া কোটেশনের কাজ দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি টাকা।
রাজশাহী শহরের এলাকা শেষেই উত্তরে নওহাটা পৌরসভা। আর দশটি পৌরসভার চেয়ে নওহাটা পৌরসভা অনেকটা সমৃদ্ধশালী। এই পৌরসভার মধ্যেই পবা উপজেলা পরিষদ, এয়ারপোর্ট, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির রাজশাহী অফিস, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, আনসার ভিডিপি ও ফোর আনসার ব্যাটায়িনের হেড কোয়ার্টার, অন্তত: ১০টি হিমাগার, সরকারি শিশু পরিবার, বায়া সেভ হোমসহ বিভিন্ন ধরণের মিল কলকারখানা রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উন্নয়নের জোয়ার দেখালেও কিন্তু পৌরসভা কর্তৃক তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি বলে জানা গেছে।
এই পৌরসভায় টেন্ডার ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের ফলে জনগণ দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। আবার যেখানে ড্রেন ও পানি নিষ্কাশন প্রয়োজন সেখানে না করে জনগুরুত্বপূর্ণ নয় এমন স্থানে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক লাগসই কাজের কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডেন্টার না দিয়ে নিজে উন্নয়ন কাজ করায় ঠিকাদারদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে খোদ কাউন্সিলরদের মধ্যেই উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বর্তমানে নওহাটা বাজার এলাকায় তিনটি ড্রেন নির্মাণ কাজ টেন্ডার ছাড়াই মেয়র নিজেই করছেন বলে জানা গেছে। কাজ তিনটি হলো-সাবেক সংসদ সদস্য মেরাজ উদ্দিন মোল্লার বাড়ি হতে নওহাটা সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল খালেকের বাড়ি পর্যন্ত, নওহাটা মহিলা ডিগ্রী কলেজের পাশে বাবলুর চায়ের দোকান থেকে ড্রেন নির্মাণ ও পবা উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের পাশে সিসি ঢালাইয়ের কাজ। আবার এই কাজগুলোতে পুরাতন মার্টেক থেকে কেনা জং ধরা কাজের অনুপোযোগি পুরাতন রড ব্যবহার করছেন বলে জানা গেছে।
একটি গোপন সুত্রে জানা গেছে, এই পৌরসভার বেশিরভাগ কাজই টেন্ডার ছাড়া হয়ে থাকে। যদিও টেন্ডার দেখানো হয় সেগুলো বহুল প্রকাশিত পত্রিকায় দেয়া হয় না। আবার অনেক সময়ে টেন্ডার ড্রপের সময় পেরিয়ে গেছে বলে আগের তারিখের অবৈধভাবে তৈরী পত্রিকা দেখানো হয়। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে বলে ওই সুত্রটি জানিয়েছে।
নওহাটা পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান আলী বলেন, তিনি কয়েকমাস আগে এই পৌরসভায় এসেছেন। তবে টেন্ডার ও কোটেশাল ছাড়াই বর্তমানের কাজগুলো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে নওহাটা পৌর মেয়র আলহাজ্ব শেখ মো. মকবুল হোসেন বলেন তিনটি নয়, একটি কাজ হচ্ছে। শুধুমাত্র ১শ’ মিটারের কাজ। বড়জোর ব্যয় হবে দুই লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে থাকেন। সে কারণে আমি নিজের টাকা দিয়েই কাজটি করছি। প্রেক্ষিতে টেন্ডার বা কোটেশান দেয়নি। তিনি আরো বলেন, আমি যদি ভোট নাও করি তবে জনগণ এই কাজের জন্য মনে রাখবেন ও দোয়া করবেন। মাত্র ১শ’ মিটার ড্রেনের জন্য দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে তাদের।