শাহমখদুম মেডিকেলে এবার চিকিৎসক পেটানোর অভিযোগ

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২২; সময়: ৮:১৫ অপরাহ্ণ |
শাহমখদুম মেডিকেলে এবার চিকিৎসক পেটানোর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী নগরীর খড়খড়ি বাইপাসে অবস্থিত শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসককে বেতন না দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সেখানে কর্মরত একজন চিকিৎসক।

ভুক্তভোগী চিকিৎসকের নাম ডা: রবিন হাসান হাবিব। তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) থেকে ২০২০ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করেছেন। শেবাচিম ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নগরীর খড়খড়ি এলাকায় অবস্থিত শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের পাশে পান্থপাড়া গ্রামে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি একজন চিকিৎসক । অনৈতিক ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমি গুরুতর আহত হয়েছি। পাওনা টাকা চেয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছি। এজন্য শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের এসকল অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হলাম ।

ডা: রবিন বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে চিকিৎসকের সিল সই জালিয়াতি করে রোগীদের সাথে শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ রোগীদের সাথে প্রতারণা করে । যা আমি জানতে পেরে প্রতিবাদ করি। এরপর আমাকে নারী কেলেঙ্কারিতে ফাঁসাতে চেষ্টা করে ।

তিনি আরও বলেন, আমার পাওনা বেতন পরিশোধ না করে আমাকে শোকজ করে। আমাকে চাকরিতে বহাল করতে অথবা চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য এবং বেতনের জন্য কোর্ট থেকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেও বিষয়টি আমলে নেয়নি তারা।

ডা: রবিন হাসান হাবিব বলেন, বৃহস্পতিবার (১২ মে) আমি অনলাইনে একটি ব্রেসলেট অর্ডার করেছিলাম এবং শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের ঠিকানায় তার ডিলেভারি আসে। আমি সেটি নিতে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতাল চত্বরে আমাকে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে শাহমুখদুম মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। এ সময় তারা আমার মুঠোফোন, মানিব্যাগ আর মোটর সাইকেল কেড়ে নেয় । যা এখন শাহমখদুম মেডিকেলে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত দুই বছর ধরে ওই মেডিকেলে আমি চাকরি করে আসছি। এক সময় এখানে কর্মরত ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের বায়োকেমেস্ট্রির স্বনামধন্য অধ্যাপক ডা. ইরফান রেজা। বেশ কিছু দিন আগে তিনি হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। এর পর তাঁর সিল ও সাইন নকল করে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলোর রিপাের্ট দেওয়া হতো, যার সবই ভুয়া। একইভাবে আস্ট্রাসাউন্ডেরও ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া হতো হাসপাতালে।

আমি বিষয়টি জানার পর এ নিয়ে হাসপাতালের এক পরিচালকের সঙ্গে কথা বলি আমি। পরে অনৈতিক এই কাজের প্রতিবাদ জানাই। এর পর থেকেই কর্তৃপক্ষ আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয় । এই হাসপাতালে মাঝে মাঝেই স্বাস্থ্যকর্মী নিগ্রহের ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, কিছু দিন আগে একই কারণে হাসপাতালের মালিকের ভাইয়ের বউয়ের হাতে মারধরের শিকার হন এক নার্স। এ ঘটনায় ওই নার্স চন্দ্রিমা থানায় অভিযােগ দায়ের করেন।

কিন্তু তদন্ত শুরুর আগেই ঢাপ থয়োগ করে মামলা মীমাংসা করতে বাধ্য করা হয় তাকে। পরবর্তীতে তিনি চাকরি ছেড়ে চলে যান। আমিও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এই অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচার চাই । জালিয়াতি থেকে রোগী ও চিকিৎসকদের বাঁচাতে এবং তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ডা: রবিন হাসান হাবিব।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে