পুঠিয়ার মেয়রের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২১; সময়: ২:৪১ অপরাহ্ণ |
পুঠিয়ার মেয়রের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আল মামুনের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তার ব্যবসায়িক পার্টনার মনিরুজ্জামান আইনজীবির মাধ্যমে ওই টাকা পরিশোধের জন্য মেয়রকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে।

নোটিশের সাত কর্ম দিবসের মধ্যে টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নইলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুঠিয়া পৌরসভা এলাকার মেয়র মামুনের এতো পরিমাণে টাকা কোন খাতে খরচ করেছেন তা নিয়ে অনেকে উদ্বেগ জানিয়েছেন।

 

 

 

 

গত ১৫ নভেম্বর পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, মোট ৫টি চেকে ৩০ লাখ টাকা নিয়েছেন মেয়র আল মামুন। মেয়রের ব্যবসায়ীক অংশীদার মনিরুজ্জামানের পক্ষে অ্যাডভোকেট আজমত হোসাইন নোটিশটি পাঠিয়েছেন। এতে উল্লেখ আছে ভুক্তভোগী চেকগুলো নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থাপন করলে পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়। প্রথম অবস্থায় মৌখিকভাবে জানালেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি মেয়র আল মামুন। পরবর্তীতে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন।

আইনজীবী আজমত হোসাইন জানান, জনতা ব্যাংক পুঠিয়া শাখার পাঁচটি চেকের মাধ্যমে মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে মেয়র মামুন ৩০ লাখ টাকা গ্রহন করে। কিন্তু সে টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাত করতে টালবাহনা করছেন। প্রাথমিকভাবে টাকা নেয়ার বিষয়টিও প্রমানিত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ করে চারটি চেকে ২০ লাখ এবং একটি চেকে ১০ লাখ টাকা গ্রহন করে।

মনিরুজ্জামান জানান, মেয়র মামুন কনস্টাশন ও পেটেøাল পাম্বের উন্নয়নের জন্য আমার কাছে থেকে টাকাগুলো নিয়েছিলো। পরে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য অনেকবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু টাকা না দিয়ে সেটি আত্মসাত করার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর টাকা দিতে অস্বীকার জানিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। এতে কাজ না হলে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে পুঠিয়া পৌরসভারপৌমেয়র আল মামুন খান জানান, তিনি এমন কোনো নোটিশ পাননি। টাকা নেওয়ার বিষয়টিও সঠিক নয়। লিগ্যাল নোটিশ হাতে পেলে তখন এ বিষয়ে বলতে পারবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে