রাজশাহীর কাটাখালী মেয়রের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল হয়েছে। পৌরসভার হাজার হাজার নারী পুরুষ ঝাড়ু হাতে এই মিছিলে অংশ নেন। মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ মেয়রের পদ থেকে বহিস্কারসহ আব্বাস আলীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের করে শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জমান লিটনকে অশ্লিল মন্তব্য করায় কাটাখালী পৌরবাসী এ ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। মিছিলে ‘আব্বাসের দুই গালে ঝাটা মারো তালে তালে’ স্লোগান দেয়া হয়।

কাটাখালী বাজারে ঝাড়ু মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. জনি ইসলাম। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পবা উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সামা, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহুরুল হক, সাবেক কাউন্সিলর মোতালেব মোল্লা, কাউন্সিল মাসুদ রানা, কাটাখালি পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক জহুরুল ইসলাম রিপন, কাটাখালি পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরীয়তউল্লাহ সৈকত।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, কাটাখালী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনজুর রহমান, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বোরহান উদ্দিন রব্বানী, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার সাদাত, ৭ নং মনিরুজ্জামান, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মজিদ, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক, নারী কাউন্সিলর আয়েশা বেগম, পবা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম রাজুসহ কাটাখালি পৌর এলাকার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এদিকে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার দুইবারের নির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে এবার অনাস্থা জানালো পৌরসভার কাউন্সিলররা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আব্বাস আলীকে মেয়র পদ থেকে অপসারণের জন্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলররা। পৌরসভার দুইজন কাউন্সিলর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজশাহী নগরীর সিটি গেটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ নিয়ে মেয়র আব্বাসের সাম্প্রদায়িক বক্তব্য সোমবার রাতে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে তা মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। কাটাখালী পৌরসভার কাউন্সিলর জানান, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মেয়র আব্বাসের যে আলাপচালিতা প্রকাশ পেয়েছে তা জাতীর জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। তার ওই কথার প্রেক্ষিতে পৌরসভার কাউন্সিলররা একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেয়রের বিরুদ্ধে আনান্থা প্রস্তাব আনার।

বৃহস্পতিবার এবিষয়ে সিদ্ধান্তের পর সন্ধ্যায় সবাই একত্রিত হয়ে অনাস্থা প্রস্তাবটি তৈরি করছে। অনাস্থা প্রস্তাব রাতেই হস্তান্তর করা হবে। এর পর আইনগত ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।