গোদাগাড়ীর খুনসহ ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১; সময়: ৯:৫১ অপরাহ্ণ |
গোদাগাড়ীর খুনসহ ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার চাঞ্চল্যকর খুনসহ ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামি গ্রেফতার করেছে গোদাগাড়ী থানা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার চৌকস টিম। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর মো: ইফতে খায়ের আলম।

গত ৩০ আগস্ট গোদাগাড়ী থানার রাজশাহী চাঁপাই মহাসড়ক সংলগ্ন গোগ্রাম ইউনিয়নের লালাদিঘি গ্রামের একটা পুকুরে মাসুদ রানা নামক এক ব্যক্তিকে খুন করে মাছ চুরি করে নেয়ার ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে গোদাগাড়ী থানায় একটি খুনসহ হত্যা মামলা দায়ের হয়। দীর্ঘ ২৪ দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাজশাহীর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম( বার) দিকনির্দেশনায় জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের তিনজন নিজেদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেনঃ ১। মোঃ লতিব (৪০), পিতা- মোঃ মতিন , মাতা- মোসাঃ অভিজান, শ্বশুর-মোঃ মোস্তফা স্থায়ী : গ্রাম- ভোলার পালশা, উপজেলা/থানা- বদলগাছী, জেলা -নওগাঁ, ২। মোঃ রেজাউল ইসলাম (৫০), পিতা- মৃত মন্টু৥ বসির খাঁ স্থায়ী : গ্রাম- ফারাদপুর, উপজেলা/থানা- নওগাঁ সদর,জেলা-নওগাঁ ৩. মোঃ আব্দুল করিম ওরফে জনি (২৫), পিতা- মোঃ ফসির উদ্দিন , মাতা- মৃত জোসনা বেগম (সাং- দক্ষিন পাড় নওগা (বর্তমান সাং- মরহুম কাজী জেসমিন স্বামী- মোঃ সুমন সাং- চকদেব ডাক্তারপাড়া, থানা+জেলা-নওগা এর ভাড়াটিয়া) , উপজেলা/থানা- নওগাঁসদর,জেলা-নওগাঁ,
৪। মোঃ শাহীন (৩৪), পিতা- মৃত-দুলাল স্থায়ী : (গ্রাম-আরজি নওগাঁ নাপিত পাড়া ) , উপজেলা/থানা- নওগাঁ সদর, জেলা -নওগাঁ। এদের মধ্যে মো: রেজাউল ইসলাম, মো: আব্দুল করিম ওরফে জনি ও মো: শাহীন আজ বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেছেন।

তাদের ভাষ্য, তারা পেশাদার মাছ চোর। রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন পুকুরে মাছ চুরি করা তাদের পেশা। ছোট ট্রাক নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ায় এবং সুবিধামতো স্থানে মাছ চুরি করে থাকে । ঘটনার রাতে তারা নয়জন একটা মিনি ট্রাকে করে নওগাঁর ফারাদপুর থেকে প্রায় আশি কিলোমিটার দূরে আসে মাছ চুরি করতে। অপ্রত্যাশিতভাবে মো: মাসুদ রানা ও লিটন নামের দুইজন পাহারাদারকে পেয়ে তাদের বেধে ফেলে। মাসুদ রানা মারা যায়। আটজনই ধরা বাধার কাজে অংশ নেয়। মাছ ধরা শেষ হবার আগেই লোকজন চলে এলে তারা পালিয়ে যায়।
বাকি আসামিদের ধরার জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে