বাগমারায় টিকা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপচে পড়া ভিড়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১; সময়: ১:৩৫ অপরাহ্ণ |
বাগমারায় টিকা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে আতংক বিরাজ করেছে পৃথিবী জুড়ে। সে সময় করোনা ভাইরাসের কবল থেকে রক্ষার ছিল না কোন উপায় বা প্রতিষেধক। করোনার শুরু থেকে অনেক ভীতি আর আতংক দেখা গেছে লোকজনের মাঝে। করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর সেটা নিয়েও সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে বিনামূল্যে দেশবাসীকে প্রদানের ব্যবস্থা করলেও অনেকেই সেটা নিতে চাননি। সরকারের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হলেও প্রথমে সেটার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন অনেকে। টিকা প্রদানের শুরুর দিকে সম্মুখ সারির লোকজনকে টিকা দেয়া হলেও বর্তমানে দেশব্যাপি গণহারে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও এখন টিকা নিচ্ছেন নিজ আগ্রহে। টিকার কার্যকারীতার সুফল পাওয়ায় দীর্ঘ লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে লোকজন টিকা গ্রহণ করছেন। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।

সকাল থেকেই টিকা নেয়ার জন্য এসে বসে আছে লোকজন। প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের অধিক ব্যক্তিকে করোনা প্রতিরোধে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান গোলাম মোস্তফা জানান, অনলাইনে আবেদন বিহীন কাউকে টিকা দেয়া হচ্ছে না। টিকা প্রদানের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করেছে ১ লাখ ৫ হাজারের অধিক মানুষ। এরই মধ্যে দুই ডোজই সম্পন্ন হয়েছে ২৮ হাজারের অধিক মানুষের। সেই সাথে প্রথম ডোজের টিকা প্রদান করা হয়েছে ৪৮ হাজারের অধিক। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪টি বুথে সিনোফার্ম এর টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এরমধ্যে ২টি পুরুষের এবং ২টি মহিলার বুথ। এতে কাজ করছেন ২০ জন স্বেচ্ছাসেবী, ৮ জন নার্স এবং ৮ জন সেমকো। প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের দ্বারাই টিকা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা বেশি। টিকা প্রদানে বয়স্কদের প্রাধাণ্য দেয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে গণটিকা কার্যক্রমে প্রথম ডোজ ১১ হাজার জনকে টিকা দেয়া হলেও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ১০ হাজার জন। অন্যরা পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে টিকা নিচ্ছেন বলেন জানাগেছে। অনলাইনে আবেদন করলেও তারিখ অনুযায়ী আবেদনকারীর মোবাইলে টিকার তারিখ পাঠানো হচ্ছে। সে মোতাবেক লোকজন টিকা নিতে আসছেন। বর্তমানে চলছে গত আগস্ট মাসের ৭-৮ তারিখে আবেদনকারীদের টিকা প্রদান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রাব্বানী বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে উপজেলা জুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪৮৫ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৫ জনের। বর্তমানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। সপ্তাহে দু এক জন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা বর্তমানে সুস্থ আছেন।

তিনি আরো বলেন, টিকার সরবরাহ ঠিক থাকলে যারা আবেদন করেছেন তাদেরকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে। প্রতিদিন যে হারে আবেদন পড়েছে সে হারে টিকা দেয়া যাচ্ছেনা। এক দিনে আমরা দুই হাজার পর্যন্ত টিকা দিয়েছি। গ্রামের লোকজন আগের চেয়ে অনেক সচেতন হওয়ার কারনে আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে