রাজশাহীতে ঢিলেঢালা লকডাউন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২০; সময়: ৪:০২ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে ঢিলেঢালা লকডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস ঠেকাতে বাড়িতে থাকার উপর জোর দেয়া হলেও তা মানতে নারাজ রাজশাহীর সাধারণ জনগন। প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে রাজশাহীর পাড়া-মহল্লা ও বাজারগুলোতে। চায়ের দোকান না থাকলেও গণজমায়েত করতে দেখা গেছে নগরের বিভিন্ন মোড়ে। রাস্তায় বেড়েছে ক্ষুদ্র যানহাবন।

রোববার সকালে রাজশাহীর সাহেববাজার এলাকার ক্ষুদ্র পরিবহনগুলোর যাতায়াত ছিল অন্যান্য দিনের মতো। অফিস আদালাত খোলা না থাকলেও ছিল মানুষের অবাধ পদচারণা। সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখার নির্দেশনাটি যেন কারও মাথায় নেই। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যঝুকি নিয়েই নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন মানুষ। স্বাস্থ্যের বিষয়টি মানছে না কেউই।

এদিকে অবাধে চলাফেরার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করলেও নিত্যপণ্যের প্রয়োজনীতার দোহাই দিয়ে ঘোরাফেরা থাকছেই। আবার অনেকে শ্যাম্পু কেনা, দোকানের টাকা পরিশোধ করার মতো হাস্যকর অজুহাত দেখিয়ে করছেন বাজারে ঘোরাফেরা। অবাধ চলাফেরা নিয়ন্ত্রনে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় দুপুর দুইটা পর্যন্ত মুদি দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এর তোয়াক্কা না করে অনেকেই দোকান খুলে বেচাকেনা করছেন অনেকেই।

কাচাবাজার গুলোতে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে জেলা প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দিলেও কেনাকাটায় তা মানছেন না কেউই। একই অবস্থা বাজারের মুদি ও মাছের বাজার গুলোতে। নিত্যপণ্যের বাজার করতে আসা ক্রেতাদের জন্য নিরাপদ দুরুত্বের ছক থাকলেও উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনার প্রাণঘাতি বিষয়টি বিবেচনায় এনে জনগনকে সচেতন করতে এবং নিরাপদ রাখতে আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। কিন্তু সাধারণ জনগন নিজেদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে বিষয়টি গ্রহন করছে না। নাগরিক যদি নিজেরা দায়িত্ব পালন না করে তবে এর সংক্রামন থেকে বাঁচা সম্ভব না। আর প্রশাসনের একার পক্ষে জনসমাগম রোধ করা সম্ভব না। তবে প্রশাসনকে কঠোর আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে