হতাশ বড় গরুর খামারিরা

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২১; সময়: ৩:২৫ অপরাহ্ণ |
হতাশ বড় গরুর খামারিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে রাজশাহীর পশু হাটগুলো। তবে ছোট গরুর চাহিদা ও দাম বেশী হলেও হতাশ বড় গরুর খামারিরা। কাঙখিত দাম পাচ্ছেন না তারা।

এদিকে, ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে ক্রেতারা গরু কিনছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখে থাকছে না মাস্ক। তাঁরা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধিও।

উত্তবঙ্গের সবচেয়ে বড় পশুহাট সিটিহাট। রাজশাহী নগরীর উপকেণ্ঠ অবস্থিত এই হাট। রোববার এই হাটে গিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে কোরবানীর পশু। হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এবার ছোট গরুর দাম বেশি। সেই তুলনায় বড় গরুর দাম অনেক কম। এতে হতাশা প্রকাশ করছেন বড় গরুর খামারিরা।

এছাড়াও শনিবার রাজশাহীর বানেশ্বরেও হাট বসেছে। শুক্রবার হাট বসেছে মান্দার চৌবাড়িয়া, রাজশাহীর কাঁটাখালী আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলীতে। এছাড়াও সোমবার হাট বসেছে কাটাখালিতে।

সিটিহাটে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামগঞ্জ থেকে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে গরু। সাধারণ মানুষ কোরবানী দেয়ার জন্য গরু কিনতে এসেছেন। এছাড়াও এসেছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, সিলেটসহ দেশের নানা প্রান্তের ব্যাপারীরাও। ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে মুখরিত ছিলো সিটিহাট।

রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা থেকে দুটি মাঝারি আকারের গরু নিয়ে এসেছিলেন বাবর আলী। তিনি জানালেন, আড়াই থেকে তিন মণ মাংস হবে তাঁর প্রতিটি গরুর। প্রতিটির দাম চাচ্ছেন ৭৫ হাজার টাকা। ক্রেতারা ৬০ হাজারের বেশি দিতে চাচ্ছেন না। তাই তিনি গরুর রশি ধরে দাঁড়িয়ে আছেন।

পবার বড়গাছি থেকে তিনটি গরু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন আনিসুর রহমান। তাঁর গরুর আকার বেশ বড়। আনিসুর প্রতিটির দাম চাচ্ছেন এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু ক্রেতারা এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি দিতে চাচ্ছেন না। কিছুক্ষণ পর আনিসুরের কাছে গিয়ে দেখা যায়, একটি গরু বিক্রি হয়েছে। তিনি দাম পেয়েছেন এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা। অন্য দুটি বিক্রি হয়নি।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যনুযায়ী, রাজশাহীতে এ বছর কোরবানির জন্য চাহিদা হতে পারে ২ লাখ ৭০ হাজার পশু। তবে জেলার ১৪ হাজার ১৯৯টি খামারে গবাদিপশু প্রস্তুত আছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১১৪টি। গত বছরে এই সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার। রাজশাহীর ৯টি উপজেলা মধ্যে মোহনপুরে সবচেয়ে বেশি গবাদিপশু পালিত হয়েছে। সংখ্যায় যা ৫৭ হাজার ১১১টি। এর পরের অবস্থানে রয়েছে জেলার পবা উপজেলা। সেখানে পালিত হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৬০টি পশু।

হাটের ইজারাদারদের একজন ফারুক হোসেন ডাবলু বলেন, পশুহাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সরকারি কিছু নির্দেশনা আছে। সেগুলো আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আমাদের এবং কয়েকটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনও বসানো হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে