আড়ানী-বাগাতিপাড়া এক কিলোমিটার সড়কের করুন অবস্থা

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২১; সময়: ১:৩৯ অপরাহ্ণ |
আড়ানী-বাগাতিপাড়া এক কিলোমিটার সড়কের করুন অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী-বাগাতিপাড়া সড়কের করুণ অবস্থার সুষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না হওয়ায় এই সড়কের বিভিন্নস্থানে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের অসংখ্য স্থানে খানাখন্দের কারণে কাদা পানির সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে চলাচল করতে মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। এই সড়ক দিয়ে বর্তমানে রিকসা ভ্যানও যেতে চায় না।

এই অবস্থার কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে নুরনগর ভাঙ্গা সাকো এলাকায় বালু ভর্তি একটি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পাশ দিয়ে আকেটি ট্রাক পার হতে গিয়ে কাদায় আটকে পড়ে। ফলে দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চলাচলকারীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। জানা যায়, আড়ানী রেল স্টেশনের নুরনগর খয়েরমিল রেল গেট হতে বাঘা উপজেলার সীমান্ত পাঁকা গ্রামের ইব্রাহীম ডাক্তারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার অসংখ্য স্থানেই খানাখন্দের পাশাপাশি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

ভাঙ্গাচোরা সড়কে সার্বক্ষণিক কাদা পানিতে পরিনত হয়ে যায়। শুকনোর সময়ে ধুলবালিতে সড়কের ধারে বসবাসকারী ও পথচারীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে। পাঁকা ইউনিয়নের মাকুপাড়া গ্রামের খোদা বক্র বলেন, আমার বাড়ি বাগাতিপাড়া উপজেলায় হলেও এই অঞ্চলের সকল মানুষ আড়ানী বাজারের ক্রয়-বিক্রয় করেন। এই সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে মোটরসাইকেলের চাকা স্লিপ করে আমার ডান হাতে আঘাত লেগে অনেক দিন ভূগতে হয়েছে। বাড়ির ছোট হোক বড় হোক কাজে যেতে হয় এই সড়ক দিয়ে আড়ানী বাজারে। বাগাতিপাড়া থেকে আড়ানী বাজারে যাওয়ার জন্য একমাত্র এই সড়কটি।

দয়ারামপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম নামের এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, আমারা ৫-৬ জন মিলে এক সাথে গরুর ব্যবসা করি। প্রতি বুধবার ভটভটি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে আড়ানীর রুস্তপুর হাটে যেতে হয়। এই হাট থেকে একদিন ৪টি গরু ক্রয় করে নিয়ে ভটভটিতে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় খয়েরমিল সাকোর কাছে ভটভটি উল্টে গিয়ে গাড়িতে থাকা আমরা ৫ জনই আহত হই। এছাড়া গরুগুলো না বাচা অবস্থা। পরে আমাদের ও গরুগুলোকে চিকিৎসা করে সেরে উঠতে বেশ কিছু টাকা খরচ হয়েছে। প্রায়ই এই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য সরকারের সংশি¬ষ্ট বিভাগের কর্মকর্তার কাছে দাবি জানান তিনি।

এই সড়কে অটোরিসকা চালক রেজাউল করিম বলেন, খানাখন্দের কারণে এই সড়কে বিভিন্ন যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। ফলে অনেকেই আহত হচ্ছেন। আড়ানী আলহাজ্ব এরশাদ আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক বিপ্লব হোসেন বলেন, আমার বাড়ি মাকুপাড়া গ্রামে। আমার একমাত্র কলেজে যাওয়ার জন্য এই সড়কটি। বিকল্প কোন সড়কও নেই। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে বড় কষ্টে আছি। সারা দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, অথচ এই সড়কের কোন উন্নয়ন হচ্ছেনা। এই সড়কটি যেন বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়ে আছে।

বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার বলেন, এই সড়কটি তিন বছর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে নেয়া হয়েছে। তাই এই সড়কটি সম্পর্কে বর্তমানে কিছু জানা নেই। এ বিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, সড়ক উপ-বিভাগ-১, রাজশাহী মো. নাহিনুর রহমান বলেন, এই সড়কটির বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। নতুন একটি প্রকল্প হচ্ছে। এই প্রকল্পের সাথে সংযোজন করে সড়কটি কাজ করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে