বৃষ্টির দিনেও রাজশাহীর কাঁচাবাজারে ভিড়, কমেনি দাম

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২১; সময়: ৬:৫১ অপরাহ্ণ |
বৃষ্টির দিনেও রাজশাহীর কাঁচাবাজারে ভিড়, কমেনি দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে চলছে কঠোর লকডাউন। আগামী ২৪ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে এই বিধিনিষেধ। তবে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন অব্যাহত রাখতে প্রতিদিনই বসছে কাঁচাবাজার। দুপুরের মধ্যেই শেষ করতে হচ্ছে বেচাকেনা।

রাজশাহীতে শুক্রবার সকাল থেকেই থেমে থেকে বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, দুপুর পর্যন্ত রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮ দশমিক ১ মিলিমিটার। তবে এই বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকেই ভিড় ছিল রাজশাহীর কাঁচাবাজারে।

গত শুক্রবার প্রথম দফায় লকডাউনের ঘোষণায় উর্ধ্বমুখী ছিল রাজশাহীর কাঁচাবাজার। তবে সপ্তাহ ঘুরে লকডাউন ও বৃষ্টিভেজা দিনেও বেশ স্বাভাবিক ছিল রাজশাহীর কাঁচাবাজার।

শুক্রবার রাজশাহীর সাহেববাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় ছিল। তবে দাম স্বাভাবিক ছিল। কয়েকটি সবজির দাম দুই-এক টাকা বেড়েছে, এছাড়া স্থিতিশীল ছিল বাজার।

কাঁচাবাজারের বিক্রেতারা বিভিন্ন সময়ের দাম গড় করে জানান, প্রতি কেজি আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা, ঝিঙে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, পেপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন ২০-৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, ঢেড়স ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি বিক্রেতা মো. রাজু জানিয়েছেন, শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, আদা ৮০ টাকা, রসুন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ও শুকনা মরিচ ২২০ থেকে ২৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

জানতে চাইলে ক্রেতা আব্দুল হাকিম বলেন, বাজারে অনেক ভিড়। টিপটিপ বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত অবস্থা। যেমনটা দাম বাড়ার আশঙ্কা করেছিলাম, তেমনটা বাড়েনি। গত কয়েক দিন এরকমই চলছে বাজার।

এদিকে, মাছের বাজারে প্রতি কেজি ট্যাংরা ৬০০ টাকা, পিয়ালি ৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, মোয়া ৪০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, সিলভার ২০০ টাকা, মৃগেল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, রুই ৩০০ টাকা, বোয়াল ৮০০ টাকা, চিংড়ি ১০০০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ১০০০ টাকায়।

মাছ বিক্রেতা ও সাঈদ ও নুরুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের কারণে গাড়ি বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত মাছ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য দাম একটু বেশি, তবে খুব বেশি না। চাহিদা অনুযায়ী, এটা স্বাভাবিক বলা চলে।

স্থির ছিল মাংসের বাজার। গত ঈদের পরে প্রায় সপ্তাহ দুয়েক বাজারে গরুর মাংসের দাম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৫৬০ টাকা কেজিতে। বর্তমানে সেটা কমে পূর্বের মত ৫৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাশির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা ও ছাগলের মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

আর মুরগির মধ্যে ব্রয়লার ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা, সোনালী ১৯০ টাকা, সাদা লেয়ার ২০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

স্থির রয়েছে চালের দাম। বাজারে প্রতি কেজি আটাশ নতুন ৫২ টাকা, পুরাতন ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা, মিনিকেট নতুন ৫৮ টাকা, পুরাতন ৬২ টাকা, জিরাশাল নতুন ৫৮ টাকা, পুরাতন ৬০ থেকে ৬২ টাকা, বাসমতি নতুন ৬৬ টাকা, পুরাতন ৬৮ টাকা, নাজিরশাল ৬৮ টাকা, কাটারীভোগ সেদ্ধ নতুন ৬০ টাকা, পুরাতন ৭৫ টাকা, স্বর্ণা ৪৮ টাকা, কালজিরা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, চিনিগুড়া ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, বালাম ৬৫ ও রনজিত ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

সাহেববাজারের এপি চাউল ভাণ্ডারের মালিক অশোক প্রসাদ বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চালের দাম একইরকম রয়েছে। লকডাউন ছুটলে আমদানি যদি বৃদ্ধি পায় তবে চালের দাম কমতে পারে। তাছাড়া এমনটাই চলবে হয়তো।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে