বাঘায় আমের দাম না পেয়ে হতাশ চাষিরা

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২১; সময়: ৮:০২ অপরাহ্ণ |
বাঘায় আমের দাম না পেয়ে হতাশ চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাজারে এখন আমের ছড়াছডি। কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে গোপালভোগ। এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, খিরসাপাত (হিমসাগর) রানিপছন্দ, তোতাপরি ও লোক্ষনভোগ (লখনা) সহ কয়েক জাতের ভালো গুটি আম।

দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ক্রেতারা কিনছেন সাধ্যমত। আর লোকসান গুনছেন,আমচাষীও ব্যবসায়ীরা । উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবার আমের দাম গত বছরের তুলনায় বেশ কম। বাজারে প্রচুর আমদানির কারণে ভাল জাতের দামি আম বলে পরিচিত খিরসাপাত (হিমসাগর) রানিপছন্দ ও লোক্ষনভোগ জাতের আম গত বছরের চেয়ে এবার অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার অমরপুর গ্রামের আম ব্যবসায়ীরা লায়েব উদ্দিন লাভলু জানান, গত বছর আমের দাম বেশি ছিল। সে বিবেচনায় এবার আম গাছে থাকতে হিমসাগর (ক্ষিরসাপাত) আম কিনেছেন ১৫‘শ টাকা লক্ষনভোগ ৮‘শ টাকা অন্যান্য আম ৮‘শ থেকে ১হাজার টাকা দরে। অর্থাৎ তারা বেশি দামে বাগান কিনেছেন। বাজারে এখন বিভিন্ন জাতের আটি বা গুটি আমের পাশাপাশি রয়েছে খিরসাপাত ,রানিপছন্দ লোক্ষনভোগ আম। কিন্তুু অন্য বছরের চেয়ে এবার বাজারে আমের আমদানি অনেক বেশি। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে আমের উৎপাদন বেশি হাওয়াই এবার দাম কম। বাগান থেকে আম নামিয়ে বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে লেবার, পরিবহন ও অন্যান্য খরচ ধরলে কোন লাভই থাকছেনা।

বাঘা উপজেলার বৃহত্তর আমের বাজার বাঘা, মনিগ্রাম, বিনোদপুর ও পাকুড়িয়ার ব্যবসায়ীরা জানান, এখন বাজারে যেসব আম পাওয়া যাচ্ছে, গতবছর তার দাম ছিল দ্বিগুণ। আম ব্যবসায়ী ও আড়ৎদার জিল¬ুর রহমান, জানান গতবছর গোপালভোগ খিরসাপাত ও রানিপছন্দ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে, এবার তা বিক্রি হচ্ছে প্রতি মন ১ হাজার ৮০০ টাকায়। এছাড়া ভাল জাতের আটি বা গুটি আম গতবছর বিক্রি হয়েছে ১২০০ টাকা মণ দরে।

এবার তা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ দরে। দিঘা এলাকার আম ব্যবসায়ী সাইফুল জানান, গতবছরের আমের দাম বিবেচনা করে ব্যবসায়ীরা এবার বেশি দামে আমের বাগান কিনেছেন। কিন্তুু দাম কম থাকায় লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, বাজারে আটি বা গুটি আমের প্রভাব কমে যাবে এক সপ্তাহের মধ্যেই। তখন বাজারে আসবে আমের রাজা বলে খ্যাত ন্যাংড়া। উঠতে শুরু করবে ফজলি আম । তখন দাম কিছুটা বাড়বে। এতে কওে লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন আম ব্যবসায়ীরা। তারা জানান,এবার আমের দরপতনে প্রভাব পড়েছে করোনার থাবা। এর কারণে বাইরের পাইকারা এবার আগের মতো আসতে পারেনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, হেক্টর প্রতি ১৫ দশমিক ৫৮ মেট্রিক টন আম উৎপাদন নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসেবে এবার আমের উৎপাদন গত বারের চেয়ে অনেক বেশি হবে। রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় আম চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে বাঘা উপজেলায় আম চাষ হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে।

তিনি বলেন, এই উপজেলার আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। চাহিদা বাড়লে লাভবান হবেন আম চাষিরা।

  • 2.4K
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে