বাঘায় শোরুমে হামলা চালিয়ে টাকা ও মালামাল লুটের অভিযোগ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২১; সময়: ৯:৪২ অপরাহ্ণ |
বাঘায় শোরুমে হামলা চালিয়ে টাকা ও মালামাল লুটের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি ইউনিয়নের হরিপুর বাজারে মেসার্স বন্ধু অটো মটরস শোরুমে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও দুইজনকে মারধর করে নগদ টাকা ও উলকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শোরুমের প্রোপাইটর বুলবুল আহমেদ ও আজরাইল হোসেন। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আহত আজরাইল হোসেনের ভাই আবু সাঈদ বাদি হয়ে আশিক ও বদিউর আলমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, ওইদিন ইফতার শেষে সারাদিনের বেচাকেনার হিসাব করছিলেন শোরুমের প্রোপাইটর বুলবুল আহমেদ ও আজরাইল। এসময় মুখে মাস্ক পরিহিত ৮ জনের একটি দল বাজারের দক্ষিণ দিক দিয়ে প্রবেশ করে ওই শোরুমে হামলা চালায়। ভাংচুর ও মারপিট করে নগদ টাকা ২ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ আরও দেড় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, হৈ চৈ শুনে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তার তথ্যমতে হামলাকারিরা ঘটনা ঘটিয়ে আড়ানি স্টেশনে যাতায়াতের সড়ক দিয়ে চলে যায়।

শোরুমের প্রোপাইটর আহত বুলবুল হোসেন জানান, ৬ মাস আগে বাজারের উত্তর দিকে ব্যক্তি মালিকানার মার্কেটের রুম ভাড়া নিয়ে ডয়েডো ব্যাটারিচালিত অটোবাইক, নতুন ট্রলি, ট্রাফে ট্রাক্টরের পার্টসসহ বিভিন্ন মালামাল বিক্রির জন্য শোরুম করেন। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তাদের শোরুমে হামলা করা হয়েছে।

এদিকে, খাগড়বাড়িয়া গ্রামের বদিউর আলমসহ তার পক্ষের লোকজন শোরুমে হামলা করেছে বলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার বাড়িতে হামলা চালায় আহত আজরাইলের লোকজন।

এ বিষয়ে বদিউর আলম জানান, তাদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে খাগড়বাড়িয়া বারুদিপাড়ার নজরুলের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানেও আক্রমণের চেষ্টা করা হয়। সেই হামলার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশ ডাকেন তিনি।

বদিউর আলমের দাবি, মেসার্স বন্ধু অটো মটরস শোরুম থেকে ২ মাস আগে ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক (উলকা নামে পরিচিত) নেয় আড়ানি নুর নগর এলাকার জুয়েল। ৯২ হাজার টাকা দামের মধ্যে নগদ জমা দেয় ৫০ হাজার টাকা। বাঁকি টাকা না দেওয়ার কারণে জুয়েলকে মারধর করে শোরুমের প্রোপাইটর আজরাইল হোসেন। বদিউর আলমের দাবি, হামলার ঘটনায় তাকে দোষী করা হলেও ঘটনার সাথে সে সম্পৃক্ত ছিলনা।

আহত আজরাইল হোসেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, জুয়েলের পক্ষ নিয়ে তার সমর্থিত লোকজন শোরুমে হামলা চালিয়েছে ।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বিগত পৌর নির্বাচন ও মাদক বেচাকেনার বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে মতবিরোধ চলছিল। তারই জের ধরে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ঘটনাগুলো হামলা-মামলায় রুপ নিয়েছে।

বাঘা থানার এস আই নাদিম মাহমুদ বলেন, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখে চলে আসি। পুলিশ যাওয়ার আগে শোরুমে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও বদিউর আলমের মোটরসাইকেলের কিছু অংশ ভাংচুর করা হয়েছে। এ বিষয়ে এক পক্ষের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

  • 57
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে