বিএমডিএ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২১; সময়: ২:১৬ অপরাহ্ণ |
বিএমডিএ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শ্যাম কিশোর রায়ের বিরুদ্ধে বদলি আদেশের পরও বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি শ্যাম কিশোরকে তার পদে বহাল রাখতে একাধিক কর্মকর্তা বিভিন্নভাবে তদবির চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি বিএমডিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারিরা এসব বিষয়ে অভিযোগ তোলেন।

বিএমডিএ’র সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিএমডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যাম কিশোর রায়কে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদে বদলি করা হয়। কিন্তু এখনো তিনি বিএমডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, নির্বাহী পরিচালক পদে বিএমডিএ’র দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শ্যাম কিশোর রায় হাতেগোনা কয়েকদিন অফিস করেছেন। নিজ বাসা থেকে অফিস করে সেখান থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকণ্ড করে আসছেন। এছাড়াও বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষে চলমান প্রকল্পে বিভিন্ন দরপত্রে অনৈতিকভাবে অর্থ উপার্জনের জন্য পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার সুপারিশও করছেন।

আরো জানা গেছে, শ্যাম কিশোর রায় ব্যক্তিগত লাভের জন্য রংপুরে ৩৫০ কোটি টাকার প্রকল্পে জামাত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মো. হাবিবুর রহমান খানকে পরিচালকের দায়িত্ব দিয়েছেন। ২০১৭-১৮ সালে অপসারণ হওয়া মো. শরিফুল হককে ১২৮ কোটি টাকার পুকুর পুনঃখনন প্রকল্পের পরিচালক করেছেন। এছাড়াও চাকুরির বয়স না থাকা সত্ত্বেও গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পের দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সুমন্ত কুমার বসাককে নাটোরে ১৭৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে পরিচালক করেছেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইডি শ্যাম কিশোর রায়ের সমস্ত দাপ্তরিক কাজ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তরিকুল ইসলামের কথামতই হয়, যিনি ছাত্রজীবনে জামাত-শিবিরের ক্যাডার ছিলেন। শ্যাম কিশোর রায়কে স্বপদে বহাল রাখতে তার মদদপুষ্ট রংপুরের পিডি হাবিবুর রহমান খান, নাটোরের পিডি সুমন্ত কুমার বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম ও পুকুর খনন প্রকল্পের পিডি মো. শরিফুল ইসলামসহ সুবিধাভোগী বেশ কিছু কর্মকর্তা বিভিন্ন মহলে তদবির চালিয়ে যাচ্ছে।

নাম গোপন রাখার শর্তে বিএমডিএ’র কমকর্তা-কর্মচারি ঐক্য পরিষদের এক নেতা বলেন, ‘২০১৮ সালে বিএমডিএ আইন সংসদে পাশ হওয়ার পরে বিএমডিএ কর্তৃক একটি অর্গানোগ্রাম প্রস্তুত করে তা কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হলেও ইডি তা ফেরৎ নিয়ে আসেন। যার কারণে আজও বিএমডিএ’র অর্গানোগ্রাম প্রস্তুত হয়নি। তিনি আরও বলেন, এই ইডির কারণে গত ১৫-১৬ বছরেও বিএমডিএ’র কোনো কর্মকর্তার পদোন্নতি হয়নি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চলমান লকডাউনের আগে বিএমডিএ’র প্রধান কার্যালয়ে গিয়েও অভিযুক্ত শ্যাম কিশোর রায়কে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে