রাজশাহীতে জনপ্রিয় হচ্ছে জাপানিজ হাইব্রিড গাড়ি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২১; সময়: ১:১৭ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে জনপ্রিয় হচ্ছে জাপানিজ হাইব্রিড গাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাগরিকের নিত্য দিনের পরিবহনের জন্যে সারা দেশের সাথে সাথে রাজশাহীতেও ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। গত তিন বছরে রাজশাহীতে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার বেড়েছে দ্বিগুন। পুরনো পেট্রোল ইঞ্জিনে চালিত গাড়ির সাথে সাথে রাজশাহীতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে হাইব্রিড গাড়ি। এ গাড়ি তেলে চলার পাশাপাশি ব্যাটারিতে চলারও ব্যবস্থা রয়েছে। হাইব্রিড গাড়ি যেমন জ্বালানি সাশ্রয়ী তেমনি দ্রুতগতির। যেখানে সাধারণ একটি গাড়ি গড়ে প্রতি লিটার তেলে চলে ১০-১২ কিলোমিটার সেখানে হাইব্রিড গাড়ি চলে ২০-২৮ কিলোমিটার পর্যন্ত।

জানতে চাইলে হাইব্রিড গাড়ির নানা সুবিধা-অসুবিধা ব্যাখা করেন রাজশাহী ভিত্তিক প্রথম জাপানি গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান “কার মোডস বিডি” এর পরিচালক গালিব শাহরিয়ার। তিনি বলেন, এই গাড়িতে তেলের ইঞ্জিনের পাশে এক ধরনের মোটর বা হাইব্রিড ইঞ্জিন রয়েছে যেটা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারির সাথে সংযুক্ত এবং গাড়ি তেলে চলার সময় ব্যাটারি চার্জ হতে থাকে। ব্যাটারি চার্জ হয়ে গেলে তেলের লাইন বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্যাটারির সাহায্যে চলতে থাকে। এ জন্য জ্বালানি তেল সাশ্রয় হয়।

এছাড়া হাইব্রিড গাড়ির ইকো অপশনের মাধ্যমে তেল এবং ব্যাটারির সাহায্যে যৌথ ভাবে গাড়ি চালানো যায়। হাইব্রিড গাড়ি পরিবেশের জন্যেও ভাল, এই জন্যে সরকার গাড়ির ট্যাক্সও নন-হাইব্রিড থেকে কম রেখেছে। তিনি জাপানি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কিনার পূর্বে গাড়ির ওরিজিনাল মাইলেজ, কন্ডিশন জেনে বা অকশন শীট ভেরিফাই করে গাড়ি কিনার চূড়ান্ত সিধান্ত গ্রহণ করতে বলেন।

রাজশাহীতে রিকন্ডিশন গাড়ি ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজশাহীতেও ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করার বেশ চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা থেকেই আমরা রাজশাহীতে প্রথম রিকন্ডিশন গাড়ি ইম্পোর্ট করা শুরু করি। বর্তমানে রাজশাহীতে আমরা শুধু প্রি-অর্ডারে গাড়ি আমদানি করছি। আমাদের এখন সৈয়দপুর এবং ঢাকাতে ডিসপ্লে সেন্টার রয়েছে। ভবিষ্যতে আমাদের পরিকল্পনায় আছে, রাজশাহীতে শো-রুম স্থাপন করার।

জাপানিজ গাড়ি কেনার জন্যে কোন প্রকার ঝুকি আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে শাহরিয়ার বলেন, বাংলাদেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গাড়ি সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভুল তথ্য দিয়ে সাধারণ ক্রেতার কাছে খারাপ গাড়ি উচ্চমূল্যে বিক্রি করার চেষ্টা করে থাকে। বাংলাদেশের মানুষ যেন প্রতারিত না হয়, এই জন্যে আমরা জাপানিজ অকশন হাউজের সাথে যোগাযোগ করে অকশন শীট ভ্যারিফিকেশনের ব্যবস্থা করেছি। বাংলাদেশে www.carmodsbd.com প্রথম কোম্পানি যারা জাপান হতে নিলামকৃত সকল গাড়ির অকশন শীট বিগত চার বছর ধরে সফলতার সাথে সরবরাহ করে আসছে।

তিনি বলেন, যে কেউই www.carmodsbd.com ওয়েবসাইটের সাহায্যে তাদের কাঙ্ক্ষিত গাড়ির চেসিস নাম্বার দিয়ে সার্চ করে, বিকাশ/রকেট/দেশীয় যে কোন ব্যাংক/কার্ডের মাধ্যমে ৮০০ টাকা পেমেন্ট করে ২০ বছরেরও অধিক সময়ের গাড়ির অকশন শীট ভেরিফাই করতে পারবে। অকশন শীট ভেরিফাই করার মাধ্যমে গাড়ির প্রকৃত অকশন গ্রেড, প্রকৃত মাইলেজ ও গাড়ির কন্ডিশন জানা যায়। এই গাড়িটি মেরামত করা হয়েছে কিনা কিংবা এক্সিডেন্ট হিস্ট্রি আছে কিনা সেও তথ্যও পাওয়া যায়। এর সাথে গাড়ির প্রকৃত রং ও মিটার টেম্পারিং থেকেও সুরক্ষা পাওয়া যায়।

ইদানিং বাংলাদেশে অকশন শীট নকল করে প্রদান করা হয়, তবে www.carmodsbd.com থেকে ভেরিফাই সঠিক এবং প্রকৃত অকশন শীট পাওয়া যায়। উপযুক্ত শুল্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব এ ধরনের গাড়ির বিক্রি আরো বৃদ্ধি হবে বলে জানান তিনি।

  • 2.2K
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে