মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ পুঠিয়ার মানুষ

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২১; সময়: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ |
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ পুঠিয়ার মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শীতের আমেজ শেষ হতে না হতেই রাজশাহীর পুঠিয়ায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। বদ্ধ জলাশয় ও নর্দমায় আবর্জনার স্তুপ অপরিস্কারের কারণে মশার প্রভাব বেড়েছে কয়েক গুন। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতিবছর বাজেটে মশা নিধনে মোটা অংকের বরাদ্দ হলেও রহস্যজনক কারণে কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাতে তাদের দায় সারছেন। তবে বিগত বছরের চেয়ে এবার মাত্রাতিরিক্ত মশার উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ লোকজন ডেঙ্গু আতংকে ভুগছেন।

জানাগেছে, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় মশা নিধনের একাধিক ফগার মেশিন রয়েছে। বছরে দু’একদিন উপজেলা পরিষদ চত্তরে ওষুধ ছিটানো হলেও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড গুলোতে কখনোই মশা নিধন কার্যক্রম হয়নি। অপরদিকে পুঠিয়া পৌরসভা গঠনের ২০ বছরেও সে সুবিধা বঞ্চিত পৌরবাসী। কিন্তু নাগরিক সুবিধার্থে নিয়মিত এলাকা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, সড়ক বাতি, পানি নিস্কাশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও মশা নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নিয়ম রয়েছে। এদিকে পৌরসভা গঠনের পর দীর্ঘ ১৪ বছর প্রশাসক ও প্রায় সাড়ে পাচ বছর থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি (মেয়র) দ্বায়িত্ব পালন করছেন। অথচ এখনো পৌরবাসী মশা নিধনের কোনো সুবিধা পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে উপজেলার ইউনিয়ন এলাকা গুলোতে মশার উপদ্রব একটু কম হলেও পৌর এলাকায় তা চরম আকার ধারন করেছে।

সাব্বির হোসেন নামে একজন পৌরবাসী বলেন, নিয়মিত কর দিয়েও নাগরিকরা তাদের প্রাপ্য সেবা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত। এ যাবত পর্যন্ত আমাদের এলাকায় কখনও মশা মারার কার্যক্রম চালায়নি পৌরসভা। শুধুমাত্র রাস্তার কয়েকটি স্থানে আলোকবাতি লাগিয়ে নামমাত্র নাগরিক সেবা দিচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ইউপি এলাকার জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, এবার বর্ষা মৌসুম শেষ যাওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাত হলে মশার প্রকোপ কম থাকে। যার কারণে বিগত বছরের তুলনায় এবার শীত শেষ না হতেই মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। আর তৃণমূল পর্যায়ে মশা নিধনে কখনোই কোনো কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়নি। তবে পরিষদ থেকে বরাদ্দ দেয়া হলে অবশ্যই আমরা তা বাস্তবায়ন করবো।

পৌর মেয়র আল মামুন খান বলেন, মশা নিধনে সরকার আমাদের এখনো পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ দেয়নি। বরাদ্দ আসলে আমরা কার্যক্রম শুরু করবো। চলতি অর্থ বছরে বাজেটে মশা নিধনে পৌরসভার কি পরিমান অর্থ বরাদ্দ ছিল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন এটা আমি বলতে পারবো না, আপনারা সরকারের কাছে খোঁজ নেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, বদ্ধজলাশয় ও অপরিস্কার নর্দমার কারণে মশার উপদ্রব বাড়বে এটা স্বাভাবিক। মশা নিধন কার্যক্রম পরিচলনা করবেন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ। আর উপজেলা পরিষদে মশা নিধনের ফগার মেশিন আছে। কোনো চেয়ারম্যান চাইলে আমরা সে ফগার গুলো সরবরাহ করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে