বাঘায় উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১; সময়: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ |
বাঘায় উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরের সুত্র ধরে, জেলা আাওয়ামীলীগের এক নেতাকে ডাইরেক্ট এ্যাকশনের হুমকি দিয়েছে যুবলীগ-ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল থেকে রাজশাহী জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলুর বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট এ্যাকশনের হুমকি দেয় তারা।

এর আগে লাঠি শোটা নিয়ে ওই নেতার বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে তার উপজেলা কার্যালয়ে ধাওয়া করে। ওই নেতার কার্যালয়ে না থাকায় সেখান থেকে ফিরে গিয়ে উপজেলা সদরে বাঘা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রন করে। জানা যায়, বৃহসপতিবার সোহাগ নামের ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধর করে নিজ দলের ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ ঘটনায় বিচারসহ গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা। সোহাগ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক,বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টুর সমর্থিত কর্মী। ছাত্রলীগের অপর কর্মীরা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সানোয়ার হোসেন সুরুজের সমর্থিত কর্মী। সানোয়ার হোসেন সুরুজ এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু সমর্থিত।

বাঘা পৌরসভার গাওপাড়া গ্রামের দবির উদ্দীনের ছেলে সোহাগ জানায়, বৃহসপতিবার হাটবারের দিন তার বাবার মাছের দোকানে বসে মাছ বিক্রি করছিল। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল,মনি,অন্তর ও শাহজালালসহ ১০-১২ জন ছেলে তার দোকান গিয়ে উঠতে বলেই এলোপাথাড়ি মারপিট করে। এসময় তার দোকানের ড্রয়ার থেকে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তার ধারনামতে সম্প্রতি অনলাইনে বাঘা লাইভ প্রোগামে কমেন্টের জের ধরে, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সানোয়ার হাসেন সুরুজের নের্তৃত্বে তারা তাকে মারধর করেছে। সেই প্রোগামে ছিলেন,জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু ও জেলা আ’লীগের সদস্য,সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী। বাঘা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মনিরা বেগম জানান, সেই দিনই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।

সানোয়ার হোসেন সুরুজ জানান, ঘটনার সাথে আমি সম্পৃক্ত নয়। তবে শুনেছি,ওই ঘটনার আগে রাতুল নামের ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধর করে। এ ঘটনার পরে,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক,বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টুর নের্তৃত্বে তার সমর্থিত বেশ কয়েকজন ছেলে পুনরায় রাতুলকে ধাওয়া করে। ওই সময় সাবেক ও –বর্তমান ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীদের নিয়ে ঘটনা দেখছিলেন। গালাগালির সুত্র ধরে রাতুলকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কে কাকে গালাগালি করেছে তা জানতে পারেননি। সোহাগ নামের ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে পরে জেনেছি। শাহিনুর রহমান পিন্টু দাবি করে বলেন, আমার সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের বিচার ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভের সময় রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। তবে চেয়ারম্যানের কার্যালয় ঘেরাও করা হয়নি।

এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু বলেন, আমার ওপর হামলার উদ্দেশ্যে শাহিনুর রহমান পিন্টুর লোকজন লাঠি-সোঠা নিয়ে উপজেলা কার্যালয়ের সামনে গিয়ে গালিগালাজ করেছে বলে শুনেছি। আমি কার্যালয়ে না থাকায় তারা সেখান থেকে ফিরে গিয়ে বাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে হুমকি স্বরুপ কথা বার্তা বলেছে বলে জেনেছি। কিন্তু রাজনৈতিক কাজে আমি তিনদিন ধরে রাজশাহী শহরে ছিলাম। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আহত সোহাগ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছে।

  • 59
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে