বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংস্কারকাজে ধীরগতিতে চিকিৎসক ও সেবা গ্রহিতাদের ভোগান্তি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২১; সময়: ৪:৫০ অপরাহ্ণ |
বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংস্কারকাজে ধীরগতিতে চিকিৎসক ও সেবা গ্রহিতাদের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রিপিয়ারিং (মেরামত ও সংস্কার) কাজের ধীরগতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসকসহ সেবাদাতা- গ্রহিতা ও দাপ্তরিক কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। কাজটি শুরু হয়েছে গত বছর (২০২০)জানুয়ারি মাসে। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ওই বছরের আগষ্ট মাসে। কিন্তু ১৩ মাসেও কাজটি শেষ হয়নি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ৫০ ভাগ।

রোববার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখা গেছে, দাপ্তরিক ও আন্তঃ বিভাগ রদবদল করে কাজ করতে। এতে কাজ কর্ম ব্যহতসহ মূল্যবান কাগজপত্র পড়ে আছে এলোমেলাভাবে। পানি ও বিদুৎ সরবরাহ না ধাকায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে বিশেষ করে আন্তঃবিভাগে ভর্তি রোগীরা।

দেখা গেছে, টাইলস বসানো থেকে শুরু করে স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ সরঞ্জাম ও পানি সরবরাহের কাজ করতে। কোন-কোন স্থানে বিদুৎতের হোল্ডার থাকলেও সেখানে বাল্প নেই। আবার কিছু-কিছু ওয়ালে বোর্ড লাগানো থাকলেও সেখানে সুইজ নেই। এতে কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আকতারুজ্জামান জানান, দ্বিতল ও নীচতলা মিলে রিপিয়ারিং(মেরামত ও সংস্কার) কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা। সেই কাজের মধ্যে রয়েছে, টাইলস বসানো থেকে শুরু করে স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ সংযোগ- সরঞ্জাম ও পানি সরবরাহসহ নানাবিধ কাজ। গত বছরের (২০২০) জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ওই বছরের আগষ্ট মাসে।

কিন্তু ঠিকাদারের ধীর গতির কারণে ১৩ মাসেও কাজটি শেষ হয়নি। অর্থাৎ কাজটি শুরু হয়েছে ১৩ মাস পুর্বে। কার্যাদেশের মেয়াদ অনুযায়ী শেষ করা কথা ছিল ৫ মাস আগেই। মেরামতের কাজটি পান সিরাজগঞ্জ জেলার নূর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সাব লীজ নিয়ে সেই কাজটি করছেন রাজশাহী জেলার বানেশ্বর এলাকার আকাশ নামে এক ঠিকাদার। তাকে কাজটি, দ্রুত সম্পূর্ণ করার কথা বললে, পরের দিন দেখা যায় লেবার সংখ্যা আরো কমে গেছে। বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা। তবে কাজের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে কি-না,সে বিষয়ে তার জানা নেই।

মুঠোফোনে কথা হলে ঠিকাদার আকাশ আলী বলেন, কাজের সময় সীমা বাড়ানো হয়েছে। তবে মনে চাইলে কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করতে পারেন। বাঁকি কাজ কবে শেষ হবে তা বলতে নারাজ এই ঠিকাদার।

  • 15
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে