দুর্গাপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আ.লীগের মনোনয়ন চান নির্যাতিত নেতা আব্দুর রাজ্জাক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২১; সময়: ৯:১৫ অপরাহ্ণ |
দুর্গাপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আ.লীগের মনোনয়ন চান নির্যাতিত নেতা আব্দুর রাজ্জাক

নিজস্ব প্রতিবেদক, দুর্গাপুর : রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় (নৌকা প্রতীক) মনোনয়ন চেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক। তৃণমুল থেকে বেড়ে উঠা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত এই নেতা এর আগে দুর্গাপুর পৌরসভার সদর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজনীতি করতে গিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শসনামলে রাজনৈতিক মামলায় অসংখ্যবার কারাবরণ করেছেন। পরে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যোকটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিনি। তবুও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র পথচ্যুত হননি এই নেতা। আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক দলীয় মনোনয়ন পেলে দুর্গাপুর পৌরসভাকে একটি আধুনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১৯৭৯ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। ১৯৭৮ থেকে ৮৮ সাল পর্যন্ত দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৯৩ থেকে ৯৭ ও ৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দুই দফায় রাজশাহী জেলা যুবলীগের সদস্য ছিলাম। ১৯৯২ থেকে ৯৭ ও ৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দুই দফায় দুর্গাপুর উপজেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৩ সাল থেকে অদ্যবধি রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের সদস্য হিসেবে রয়েছি। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দুর্গাপুর উপজেলা কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।

এরপর ২০০৩ থেক ২০০৭ সাল পর্যন্ত দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলাম। ২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১২ ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে কাউন্সিলর ছিলাম। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে স্বীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালনে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রে প্রস্তাবিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছি।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে অনুষ্ঠিতব্য দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে দুর্গাপুর সদর (ওয়ার্ড নং-০৭) থেকে বিপুল ভোট পেয়ে কমিশনার নির্বাচিত হই। যে পদটি বর্তমানে কাউন্সিলর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া সাংগঠনিক ভাবে দল ও সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সাথে সাংগঠনিক প্রতিটি দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া ১৯১৭ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ছিলাম শিশু কিশোর। ওই অবস্থায় গোপনে চাচা ও বাবার নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার সরবরাহ করেছি।

এছাড়া রাজনীতি ও ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থেকেছি সব সময়। সাম্প্রতিক করোন ভাইরাস সক্রমণের সময়ও মানুষের পাশে ছিলাম। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ সহ গরীব অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে সাধ্যমতো আর্থিক সহযোগিতা করেছি। এমনকি ২০০১ সাল হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে মিথ্যা মামলায় মোট ১১ বার কারাবরণ করতে হয়েছে। সব গুলোই ছিলো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীন সার্বভোম বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার নির্দেশিত পথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়- এর রুপকল্পে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ’বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ এর নীতি ও আদর্শের প্রতি অনুগত থেকে সততার সাথে দেশের গণতান্ত্রিত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে ভূমিকা রাখতে চাই।

এছাড়া বলিষ্ট ও সক্রিয় নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নানা গবেষণা ও পরিকল্পনা হাতে নিয়ে পৌর এলাকার তরুন সমাজ তথা সাধারণ মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদানের মধ্য দিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে চিরতরে নির্মূল করতে চান বলেও প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক।

  • 170
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে