রাজশাহীতে বিচারাধীন জমিতে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২০; সময়: ৫:১৮ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে বিচারাধীন জমিতে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী নগরীর জিন্নানগর এলাকায় ভোগ দখলীয় বিচারাধীন জমিতে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আরএমপি বোয়ালিয়া মডেল থানায় অভিযোগ হয়েছে।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, নগরীর জিন্নানগরে মৃত হেফাজ উদ্দিনের ছেলে মাসুম হায়দারসহ ওয়ারিশগণ ১৮ কাঠা জমি ভোগদখল করে আসছে। ২ ডিসেম্বর তাদের ভোগদখলীয় জমিতে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন মৃত সাদরুল আমিনের ছেলে সামিউল আমিন সম্রাট ও সম্রাটের মা শিরিন বেওয়া। যাদের ওই জমির দলিল ও এসএ এবং আরএস খতিয়ানে নামই নেই। তারা জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণ করছে। বাড়ি নির্মাণে বাধা দিলে নানা প্রকার ভয়ভীতিসহ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির হুমকি দেয়।

অভিযোগকারি মাসুম হায়দার বলেন, বেশ কিছু দিন আগে থেকে জমির দলিল, নামজারি না থাকলেও সামিউল আমিন সম্রাট ও তার মা শিরিন বেগম জোরপূর্বক ওই মাটি ব্যবহার করে। এ ব্যাপারে ১৯৯৭ সালে উচ্ছেদ মামলাও রয়েছে। এমনকি সামিউল আমিন সম্রাট লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার নির্বাহী অফিসার হওয়ায় তার আবেদনে আমাদের খাজনা নেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন ভূমি অফিস। পরে তার অবৈধ আবেদন বাতিল করে আমাদের সঠিক কাগজপত্র দেখে আবারো খাজনা নেয় ভূমি অফিস।

সামিউল আমিন সম্রাটের ক্ষমতায় আমাদের নিজেদের দলিলীয় ও দখলীয় জমি উদ্ধারে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত ইউএনও সামিউল আমিন সম্রাট ফোনে ফোনে আমাদের আইনের সেবা থেকে বঞ্চিত করছেন।

বিবাদী ইউএনও সামিউল আমিন সম্রাট বলেন, মামলা বিচারাধীন আছে এটা সত্য। কিন্তু আমাদের জমির ওপর আমরা আছি। এটা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। তারাই অবৈধভাবে আমাদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা করেন। মামলা বিচারাধীন আছে। এবারে প্রচুর বৃষ্টিতে বাড়িতে পানি উঠেছিল এবং আধাপাকা ঘরের দেয়ালে ফাটল ধরে। সেইহেতু থাকার জন্য ওগুলোকে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, তারা যেমন অভিযোগ দিয়েছেন তেমনি আমাদের পক্ষ থেকেও অভিযোগ হয়েছে। আমার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত পিতাকে নিয়ে গালি গালাজ করে। আমার মাতাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে তারা।

তবে মাসুম হায়দার বলেন, তাদেরকে কোন ধরণের গালি গালাজ করা এবং ভয়ভীতি দেখানো হয়নি। ভয়ভীতি দেখানোর ক্ষমতা থাকলে আমরা তাদের করতে আইনের আশ্রয় নিতাম না।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে