শাহ মখদুম শিক্ষার্থীদের মোবাইল ছিনতাইকে চুরি বলছে পুলিশ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২০; সময়: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ |
শাহ মখদুম শিক্ষার্থীদের মোবাইল ছিনতাইকে চুরি বলছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বেসরকারি শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় স্ত্রী ও ভাইকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনো পলাতক রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুজ্জামান স্বাধীন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও মামলায় মোবাইল ছিনতাইয়ের কথা বলা হলেও সেখানে চুরির অপরাধের ধারা বসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভূক্তভোগীরা। আহত কয়েকজন শিক্ষার্থী এ অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থীদের ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারের কোন উদ্যোগ নেয় পুলিশের।

আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ২৭ নভেম্বর শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ওই দিনই এমডি মনিরুজ্জামান স্বাধীনের স্ত্রী বিউটি খাতুন ও ভাই মেহেদী হাসান মিথুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত পলাতক আছেন এমডি মনিরুজ্জামান স্বাধীন।

সূত্র মতে, ওই হামলার ঘটনায় রাতেই শিক্ষার্থীদের পক্ষে মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মনিরুজ্জামান স্বাধীনসহ নয় জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০ আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় শিক্ষার্থীদের দুটি মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা উল্লেখ করা থাকলেও মামলায় চুরির ধারা বসানো হয়।

ছিনাতাইকৃত মোবাইল দুটি উদ্ধারেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। আসামিরা আদালতে দাঁড়িয়েই জামিন পেয়ে যাচ্ছেন দুর্বল ধারার কারণে। অথচ প্রকাশ্যে পিটিয়ে ৫ মেয়েসহ ৯ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় দুটি মোবাইল। পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানিও করে হামলাকারীরা।

হামলার শিকার ফওজিয়া আবিদা বলেন, পুলিশ ইচ্ছেকৃতভাবে মামলাটিকে দুর্বল করে দিয়েছে যাতে আসামিরা সহজেই জামিন পান। আসামিরা আদালতে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। আবার মোবাইল দুটিও উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। পলাতক এমডিসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না পুলিশ। ফলে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাজশাহীতে।

রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মনির বলেন, মামলায় যেসব ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব ধারায় বসানো হয়েছে। পলাতক আসামিদেরও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আসামিদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে