রাজশাহীতে সবজির বাজারে স্বস্তি, বেড়েছে তেলের দাম

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২০; সময়: ২:২০ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে সবজির বাজারে স্বস্তি, বেড়েছে তেলের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সকল সবজির দাম কমেছে। সেই সথে কমেছে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম। আর স্থিতিশীল রয়েছে, মাছ, মাংস ও চালের দাম। বাজারে দাম কমায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। ১০ থেকে ৪০ টাকা দরে মিলছে শীতকালীন সবজিসহ সকল সবজির। তেলের বাজারে খোলা ও প্যাকেটজাত তেল কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সাহেববাজার ও মাষ্টারপাড়া বাজারে ঘুরে এবং ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা কমে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৩ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ ৫৫-৫০ টাকা। এছাড়াও শীতকালীন শিম, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি মিলছে ১০ থেকে ৩০ টাকায়।

প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। এছাড়া প্রতি কেজি পটল ৩০, করলা ৪০-৪৫, বরবটি ২৪-৩০, পেঁপে ১৫-২০, প্রতিটি লাউ ২০-৩০, টমেটো কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শসা ২৪-৩২ টাকা ও গাজর ৩৬-৪০ টাকা, প্রতি আঁটি পালং শাক ৮ থেকে ১৫ টাকা, লাউ শাক ১৫-২০ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, ধনে পাতা (১০০ গ্রাম) ৮ টাকা, প্রতি হালি লেবু ১৫-২০ টাকা ও কাঁচাকলা হালি ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি বেগুন ২০ টাকায়, শিম প্রকার বেধে ২৪-৩০ টাকায়, প্রতি পিছ ফুলকপি ও বাঁধা কপি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। ফার্মের মুরগির লাল ডিম ২৩-২৬ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৪০-৪৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম কমায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। বাজার করতে আসা রোকেয়া সুলতানা জানান, সবজির দাম অনেকটা কম। এমন দাম থাকলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য ভালো।

মাজদার আলী জানান, সবজির দাম কম! অনেক সবজি বাজারে আছে। কিন্তু ক্রেতা নেই! রাজশাহীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে আছে তাই ক্রেতা অনেক কম। সবজির দামও অনেক কম।

গরু-খাসি ও মুরগির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়ছে। খুচরা বাজারে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায় আর লেয়ার মুরগি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৯০ টাকায়। দেশি মুরগি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫৪০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০-টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার সকালে প্রতি কেজি দেশি রসুন ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আদা ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদি বাজারে সকল পণ্য স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে তেলের দাম। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ৬৫-৭০ দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বোতলজাত সয়াবিন লিটার বেড়েছে ৫ টাকা ১০৫ টাকা বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, মসুর ডাল বিক্রি মোটা ৭০ দেশি ১১০ টাকা, চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৪ টাকা কেজি দরে ।

চালের দাম অপরিবর্তিত আছে। আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, পায়জাম ৬০ টাকা, মিনিকেট ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ টাকা। কাটারিভোগ সিদ্ধ ৭৫ টাকা, কাজল লতা ৬০ টাকা, পোলা-আতপ ও কালোজিরা চাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে।

স্থিতিশীল আছে মাছের দাম বাজার। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১২০-১৫০, শৌল মাছ ৩০০-৪০০, চাষের কৈ ২০০-২২০, দেশি কৈ ৫০০-৬০০,পাঙ্গাস ৯০-১২০, ছোট ফলি ২০০-৩৫০, পাবদা ৪০০-৫০০, চায়না পুটি ১০০-১৬০, রুই ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল ২০০-৩৫০ টাকা, চিংড়ি ৫০০-৭০০, শিং মাছ ৫০০-৬৫০, বাটা মাছ ১৪০, সিলভার ১০০-১৫০। শোল ২৫০ টাকা, বাঘাইড় ৭৫০ থেকে ৯৬০ টাকা, বোয়াল ৪৫০ থেকে ৯০০ টাকা, চিতল ৩০০-৬৫০ থেকে টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সাহেব বাজারের ভোলা মাছ ভান্ডারের ব্যবসায়ী জানান, গত সপ্তাহের মতই মাছ বিক্রি হচ্ছে। কার্প ও নদীর মাছের দাম বাড়েনি বা কমেনি। আগের মতই বিক্রি হচ্ছে সকল প্রজাতির মাছ।

  • 38
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে