রাজশাহীতে দাম বাড়লো পেঁয়াজ ও মাছের, কমেছে সবজির

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২০; সময়: ২:৪৮ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে দাম বাড়লো পেঁয়াজ ও মাছের, কমেছে সবজির

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাজারে গত তিন দিন থেকে পেঁয়াজের দাম ছিলো প্রতি কেজি ৪৫ টাকা। কিন্তু আজ শুক্রবার (২০ নভেম্বর) খুচরা বাজারে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে মাছের বাজারে দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা। আর বাজারে প্রচুর শীতের সবজি আসায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

শিম, ফুলকপি ও বাঁধাকপির আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে সবজির। গত সপ্তাহের চেয়ে সবজির দাম কেজিপ্রতি কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ২০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে মিলছে সকল প্রকার সবজি। অন্যদিকে মুরগির ও ডিমের বাজারেও দাম কমেছে। মুরগি খুচরা বাজারে কেজি প্রতি ১০ টাকা ও ডিম হালি প্রতি ৪ টাকা কমেছে। স্থিতিশীল রযেছে, মাংস, চাল ও মুদি সামগ্রীর দাম। আজ শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাজশাহীর সাহেব বাজার, মাষ্টার পাড়া ও সাগর পাড়ার কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কাঁচা মসলার বাজারে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১০০ থেকে ১১০ টাকা, আদা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির বাজারে পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গাজর ১০০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, কলা প্রতি হালি ২০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা কেজি প্রতি ২০ টাকা, জলপাই ৪০ টাকা, ধনে পাতা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি আঁটি লাল শাক, পুঁই, পালং ও সরিষা শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকায়।

এদিকে সবজির দাম কমায় খুশি ক্রেতা ও বিক্রেতরা। বাজার করতে আসা নিলুফা, আব্দুর রহমান ও তানিয়া সুলতানা জানান, গত দুই সপ্তাহ থেকেই সবজির দাম আগুন ছিলো। গত সপ্তাহ থেকে দাম একটু কমতে শুরু করে! আজ শুক্রবার সবজির দাম অেেনকটা কমে এসছে। তবে পেঁয়াজের দামটা আগের মত বাড়তে শুরু করছে।

এই ক্রেতারা জানান, গত পরশু যে পেঁয়াজ কিনলাম ৪৫ টাকা কেজিতে আজ সেই পেঁয়াজ ৬০ টাকায় কেজিতে কিনতে হচ্ছে! পেঁয়াজের দাম কমানো উচিত।
বাজারে পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, পাইকারী বেশি দামে কিনতে হচ্ছে’ তাই একটু বেশি দামেই বিক্রি করছি। গত তিন দিন থেকে এই দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার বিষয়ে বড় সিন্ডিকেট ও মোকামের ব্যবসায়ীদের ঠিক করতে হবে।

মুদি বাজারে শুধু খোলা তেলের দাম বেড়েছ কেজি প্রতি তিন টাকা। আর অপরিবর্তিত রয়েছে, চাল, ডাল, ও মাংসের বাজার। প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে, ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। আর প্যাকেট ও বোতল জাত তেল ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা, চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৪ টাকা কেজি দরে। আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, পায়জাম ৬০ টাকা, মিনিকেট ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, নাজির ৬০ টাকা। কাটারিভোগ সিদ্ধ ৭৫ টাকা, কাজল লতা ৬০ টাকা, পোলা-আতপ ও কালোজিরা চাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে।

অপরদিকে কেজিপ্রতি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে, ৭৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ৬০০ টাকা ও গরুর মাংস ৫৪০ টাকা।
বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, সোনালী মুরগি ১৭০টাকা ও দেশি মুরগি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে কিছু কার্প ও দেশি জাতের মাছের দাম বেড়েছে। কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ক্রেতারা জানাচ্ছেন, যে মাছ গুলোর দাম বেড়েছে তার আমদানি কমেছে। রুই ২৮০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি, কাতল ২৫০ থেকে ৫৩০ টাকা, বোয়াল ৪৫০ থেকে ৯০০ টাকা, চিতল ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সিলভর ১২০ থেকে ২১০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১২০ টাকা নদীর পাঙ্গাস ১০০০ হাজার টাকা, শোল ২৫০ টাকা, বাগাড় ৭৫০ থেকে ৯৬০ টাকা, ইলিশ ৬০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। নদী ও দেশি প্রজাতির মাছ ৪০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সাহেব বাজারের ভোলা মাছ ভান্ডারের মাছ বিক্রেতা সাইদ ইসলাম জানান, রুই, কাতল, বোয়াল, চিতলসহ নদী ও দেশি প্রজাতি মাছের আমদানি একটু কমায় দাম বাড়তি আছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে