রাজশাহীতে ৮ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২০; সময়: ১:০৭ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে ৮ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংবাদ প্রকাশের কারণে যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও সোনালী সংবাদের সম্পাদক মো. লিয়াকত আলীসহ আট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের ধিক্কার জানিয়েছেন রাজশাহীর সাংবাদিকরা। একইসঙ্গে তারা অনতিবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদ ২০১৫ সালে মামলাটি দায়ের করেন। গত সেপ্টেম্বরে নগরীর মতিহার থানা পুলিশ মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। এরপর দৈনিক যুগান্তরের রাবি প্রতিনিধি মানিক রাইয়ান বাপ্পীকে গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এর প্রতিবাদে সোমবার সকালে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সাংবাদিকরা। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) এর আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন আরইউজে সভাপতি কাজী শাহেদ। পরিচালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বাবু, রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আরাফাত রহমান, রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বাবর মাহমুদ।

বক্তারা বলেন, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জাতীয় প্রেসক্লাবেরও সভাপতি। আর সোনালী সংবাদ সম্পাদক লিয়াকত আলী রাজশাহীর প্রবীণ ব্যক্তিত্ব। প্রগতিশীল এসব মানুষদের বিরুদ্ধে মামলা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত। উন্নয়নের চলমান ধারা বাধাগ্রস্ত করতে সাংবাদিকদের বেকায়দায় ফেলে সরকারকে সমালোচিত করার চেষ্টা চলছে। মামলাটির সঠিক তদন্ত হলে সাংবাদিকরা অব্যাহতি পাবেন।

তারা আরও বলেন, সাংবাদিকরা জাতি গঠনে কাজ করে যান। কালা কানুনে যদি তাদেরই হয়রানির শিকার হতে হয় তাহলে এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই তিনি যেন আইনটি বাতিল করেন। কারণ তিনি ছাড়া আর কোন অভিভাবক নেই।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক সোনার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, সোনালী সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক মাহমুদ জামাল কাদেরী, বার্তা সম্পাদক আবদুল করিম, বিএফইউজে সদস্য জাবীদ অপু, রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শ্যামল, আরইউজের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান রকি, কোষাধ্যক্ষ সরকার দুলাল মাহবুব, নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান টুকু, সামাদ খান, সিনিয়র ফটোসাংবাদিক আজাহার উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক শ.ম সাজু, আনিসুজ্জামান আনিস, বদরুল হাসান লিটন, রফিকুল ইসলাম, আবরার শাঈর, আবদুস সাত্তার ডলার, শামীম হোসেন, তৈয়বুর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে একাত্মতা ঘোষণা করে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহিদী, রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু, নগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তৌফিক আলী ভাদু, রাজশাহী সংবাদপত্র কর্মী পরিষদের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন নিলা, ওয়েবের রাজশাহীর সভাপতি আনজুমান আরা লিপি, রাজশাহী বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী আবদুল মালেক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের রাজশাহীর সহ-সভাপতি সেলিনা বেগম প্রমুখ।

  • 37
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে