বাগমারায় যখন পুড়ছিল কারখানা, তখন ফেসবুক লাইভ করছিলেন তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : কারখানায় আগুন জ্বলছে, কয়েকজন চিৎকার করছেন। আর একদল তরুণ মুঠোফোন হাতে ফেসবুক লাইভে তা সরাসরি প্রচার করছেন। শনিবার রাজশাহীর বাগমারার একটি তুলার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সময়কার চিত্র এটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, উপজেলার দেউলা বেইলি সেতুসংলগ্ন তুলা তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। কারখানার কার্যক্রম চলার সময় শনিবার রাত আটটার দিকে আগুনের ফুলকি পাশে থাকা তুলার স্তূপে পড়ে। এ সময় সেখানে আগুন ধরে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে কারখানার শ্রমিকেরা তা নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে তাঁরা চিৎকার শুরু করেন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান।
স্থানীয় ফায়ার স্টেশনে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বাগমারা ফায়ার স্টেশনের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণে আগুন কারখানা থেকে পাশের গুদামে ছড়িয়ে যায়। রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে কারখানার যন্ত্রপাতি, আসবাব ও গুদামঘরের মালামাল পুড়ে যায়। কারখানার মালিক সোহেল রানার দাবি, অগ্নিকাণ্ডে তাঁর ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, যতক্ষণ মুঠোফোনে চার্জ ছিল, ততক্ষণ কয়েকজন তরুণ ফেসবুকে অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য লাইভ করেছেন। লাইভ না করে একটু যদি আগুন নেভানোর চেষ্টা করতেন, তাহলে উপকার হতো।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফ আহম্মেদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। কারখানার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বাগমারার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনমাস্টার ইব্রাহিম হোসেন বলেন, মেশিনের স্ফূলিঙ্গ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। বাগমারা ও মোহনপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা যৌথভাবে আগুন নেভানোর কাজ করেন।
36