রাজশাহীর বীর যোদ্ধা শহীদ শামসুলের মৃত্যুবার্ষিকীতে খাবার বিতরণ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২০; সময়: ৩:২৯ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীর বীর যোদ্ধা শহীদ শামসুলের মৃত্যুবার্ষিকীতে খাবার বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাত্তরের বীর যোদ্ধা শহীদ শামসুল আলমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গরীব, অসহায় ও দুস্থ্যদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এই খাবার বিতরণ করা হয়।

দুস্থ্য মানুষের হাতে খাবার তুলে দেন শহীদ শামসুল আলমের ভাই রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি রবিউল আলম বাবু ও তাদের ছোট ভাই রাজশাহী থাই অ্যালুমিনিয়ামের সত্ত্বাধিকারি খাদেমুল ইসলাম মাসুম। এ সময় আজিজুল আলম বেন্টুর পৃষ্টপোষকতা গড়ে উঠা রাজশাহীর সামাজিক সংগঠন আমরা নতুন প্রজন্মের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম কনকসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শহীদ শামসুল আলমসহ তার সঙ্গে শহীদ সাতজনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া খায়ের করা হয়।

জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের রাজনৈতিক সহকর্মী আলহাজ্ব মৃত মো. রুহুল আমিন সরকারের বড় ছেলে শহীদ শামসুল আলম। রাজশাহী মহানগরীর হড়গ্রাম মুন্সিপাড়ায় ছিলো যার বসবাস। পড়ালেখা করতেন রাজশাহী কলেজে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর অগ্নিঝড়া ভাষণ উদ্দীপ্ত করে তাকে। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি অংশগ্রহণ করেন যুদ্ধে। ৭ নং সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় তিনি সম্মুখ যুদ্ধেও অংশ নেন।

১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে শহীদ শামসুল হকের দল রাজাকারদের আস্তানায় হানা দেয়। কিন্তু তাদের অন্যতম দুই সদস্য সাইদুর রহমান ও আবু তালেব ধরা পড়ে যান রাজাকারদের হাতে। নির্যাতন চালিয়ে এই দুজনের কাছ থেকে দলের অন্যদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে রাজাকারেরা।

১১ নভেম্বর শামসুল আলমসহ ৮ জন ধরা পড়েন রাজাকারদের হাতে। হড়গ্রামের ফাল্গুনী ক্যাম্পে তাদের প্রথমে নেয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হলে রাজাকারদের স্থাপিত টর্চার সেলে। সেখানে নির্যাতন করে ১৩ নভেম্বর শামসুল আলমসহ সাতজনকে হত্যা করা হয়। কিন্তু প্রাণে বেঁচে যান রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সানাউল্লাহ। এই সানাউল্লাহ পরবর্তীকালে নিশ্চিত করেন শহীদ শামসুল আলমের মৃত্যু।

বিজয় অর্জনের পর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু এই শহীদ পরিবারের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সাথে ২ হাজার টাকার। কিন্তু এ পর্যন্তই শেষ। এই শহীদ পরিবারের কেউ কোনো খোঁজ আর রাখেনি। শামসুল আলম শহীদ হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে তারই কোনো স্বীকৃতি নেই এখন।

  • 100
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে