মামলা থেকে অব্যাহতি পেল আট বছরের শিশু জুবাইর

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২০; সময়: ১২:১৮ অপরাহ্ণ |
মামলা থেকে অব্যাহতি পেল আট বছরের শিশু জুবাইর

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে মামলা থেকে অব্যাহতি পেল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জুবাইর।রাজশাহীর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলাটি বাদী প্রত্যাহার করে নিলে মামলা থেকে অব্যাহতি পায় জুবাইর।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শুক্রবার দোকান বন্ধ না রাখার কারণে জুবাইর ও তার বাবার বিরুদ্ধে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। শিশু জুবাইর আহমেদের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার পূর্বপুঠিয়া পাড়া গ্রামে। তার বয়স আট বছর। তার বাবার নাম জোনাব আলী মণ্ডল।

আসামি পক্ষের আইনজীবী এম আলম জামান রাসেল জানান, মামলার বাদি মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে লিখিত আবেদন জানালে শ্রম আদালত রাজশাহীর চেয়ারম্যান (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) গোলক চন্দ্র বিশ্বাস মঙ্গলবার তা মঞ্জুর করেন। মামলাটির বাদি ছিলেন রাজশাহীর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের একজন পরিদর্শক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পবা উপজেলায় পৌর মার্কেটে `জে বার্মিজ সুজ’ নামে জুতার দোকানে প্রোপাইটারের পাশে জুবাইরের বাবা শখ করেই নাম লিখেছিলেন ছেলের। গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দোকান বন্ধ না রাখার কারণ দেখিয়ে শ্রম আইন ২০০৬-এর ৩০৭ ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে জুবাইর ও বাবার বিরুদ্ধে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।

পাঁচমাস পর পাওয়া সে মামলার সমনে দেখা যায়, আসামি হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জুবাইর। শিশুটির পরিবার জানায়, নিজ দোকানে শখের বসে ছেলের নাম লিখেই পড়েন বিপাকে।

মামলা দায়েরের পর প্রথমে এ বছরের ২৫ মার্চ, পরে ২০ সেপ্টেম্বর শুনানির তারিখ দেয় শ্রম আদালত। তাতে শিশুটির আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়া নিয়ে বিব্রত তার পরিবার।

পরবর্তীতে শিশু জুবাইয়েরের মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ নভেম্বর নির্ধারণ করেন আদালত। কিন্তু ওইদিন ফুলকোর্ট রেফারেন্সের জন্য আদালত হয়নি। ৮ নভেম্বরের আগেই বাদি মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। পরে মঙ্গলবার আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।

জুবাইর ও তার বাবা জোনাব আলীর মত পবা উপজেলার পৌর মার্কেটের ৮০০ দোকান মালিকের অধিকাংশের দাবি, নিয়মের মধ্যে থেকেও প্রতিনিয়ত মামলার শিকার হচ্ছেন তারা। এক দোকান মালিক বলেন, যেদিন মামলা দিচ্ছে সেদিন আমরা দোকান খুলিনি। দোকান বন্ধ থাকার পরও দেখি মামলার নোটিশ চলে আসে। আট বছরের একটা শিশুকে আসামি করা অমানবিক। এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হলে বাদি মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে