বাঘায় পৈত্রিক জমিতে ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২০; সময়: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ |
বাঘায় পৈত্রিক জমিতে ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি ইউনিয়নের হরিপুর ও পাশের গ্রামের লোকজনের চলাচলের পথ বন্ধ করে নিজ বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। অসহায় পরিবারগুলোর শত অনুরোধেও সেই মালিক প্রাচীর নির্মাণ বন্ধ করেননি। অভিযোগ রয়েছে, ওই পরিবারগুলোকে যাওয়া আসা করতে না দেওয়ার জন্যই এমনটা করা হয়েছে।

সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামদু’টির লোকজনের চলাচলের পথটি বন্ধ করে বাড়ির পূর্ব-পশ্চিমে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। যার কারণে পরিবারগুলোকে অনেক দুর ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

গ্রামের বাসিন্দারা জানান,ওই গ্রামের হরেন্দ্রনাথ ভৌমিকের ছেলে হিমাংসু ভৌমিক নামীয় এক ব্যক্তি চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর দিয়েছেন। ব্রিটিশ আমল থেকে তারা পায়ে হাটার ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতেন। পরে পাশের জমির মালিকদের অনুরোধ করে তারা চলাচলের পথটি হেরিং বরিং বন্ড করে নেন।

ওই গ্রামের বাসিন্দা রতন কুমার ভৌমিক, তপস কুমার, রেজাউল করিম ও রবীন্দ্রনাথ সীলসহ অনেকেই জানান, ব্রিটিশ আমল থেকে দুই গ্রামের প্রায় দেড়শতাধিক লোকজন যে পথ ব্যবহার করছিলেন, সেটি সীমানা প্রাচীর দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু তার বাড়ির গেটের সামনে দিয়ে বের হবার রাস্তাটি অন্যর মালিকাধীন। সেই রাস্তা দিয়েই ওই মালিকেও যাতায়াত করতে হয়। তারা জানান,ওই রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবীতে হস্তক্ষেপ কামনা করে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। যার অনুলিপী কপি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক,বাঘা উপজেলা নির্বাহি অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।

গ্রামের অন্য বাসিন্দা বলেন, আমরা অনেক অনুরোধ করার পরও কর্ণপাত করেনি। আমাদের রাস্তা যদি বন্ধ করে দেয়, তাহলে পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে বসবাস করি?

এদিকে হিমাংসু ভৌমিক ও লক্ষন কুমার ভৌমিকের বিরুদ্ধে গত ২০ অক্টোবর পৈত্রিক জমিতে ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অবিযোগ করেছেন রতন কুমার ভৌমিক। শালিস অমান্য করে ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ করেন রতন কুমার ভৌমিক।

জানতে চাইলে জমির মালিক বাবু হিমাংসু ভৌমিক জানান, বাড়ির দক্ষিনে যে মিনি পুকুর রয়েছে, সেই পাড় ভেঙ্গে আমার জমির সীমানা ভেঙ্গে পুকুরে চলে গেছে। এতে পরিবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছেন। তাই নিজের সম্পত্তিতে সীমানা প্রাচীর তৈরি করেছি। এতে পাশের বাড়ির লোকজন অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তাতে আমার কিছু করার নেই। বাড়ির গেটের সামানের রাস্তার অংশ তারও রয়েছে বলে দাবি করেছেন।

হিন্দু, বৌদ্ধ,খ্রীষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের বাঘা উপজেলা কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার বাকু পান্ডে বলেন, সামাজিকভাবে বসে সেটি মিমাংসা করে দিবেন। আড়ানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এর আগেও বসা হয়েছিল। তবে সকল বিষয়ে বিবেচনা করে প্রয়োজনে আবারো বসে সমাধানের চেষ্টা করবো।

বাঘা থানার এসআই (উপপরিদর্শক) আবু তাহের জানান, ঘর নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে জমির অংশীদারিত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা আছে। তবে সীমানা প্রাচীর সংক্রান্ত অভিযোগ বিষয়ে আমার জানা নেই।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, চলাচলকারি লোকজনের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে