চোখে পানি নিয়ে বাঘায় প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে পূণ্যার্থীদের ঢল

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২০; সময়: ৭:২৬ অপরাহ্ণ |
চোখে পানি নিয়ে বাঘায় প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে পূণ্যার্থীদের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে অপসক্তির হন্তাকারক দুর্গা বিদায় নিয়ে এক বছরের জন্য চলে গেলেন মর্ত্য ছেড়ে। বিজয়ার শোভা যাত্রায় ঢাক- ঢোল, শাঁক, করতাল, আর সানাইয়ের করুন সুর এবং ভক্ত অনুরাগীদের অশ্রু বিষর্জনের মাধ্যমে দূর্গাদেবীকে নদীর ঘাটে বিসর্জন দিয়ে ঘরে ফিরে ভক্তরা। সারা দেশের ন্যায় বাঘাতেও দুর্গাকে বিদায় জানানো হয় ভাব গম্ভীর আর উৎসব-উদ্দীপণার সকল আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে।

সোমবার (২৬-১০-২০)বিকালে পদ্মা নদীর পাড় ও বিভিন্ন পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে ঢল নামে পূণ্যার্থীদের। সব বয়সের নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর-কিশোরিরা পায়ে হেটে বিসর্জন ঘাটে ভিড় জমান। সন্ধ্যা রাত র্পযন্ত এগিয়ে চলে প্রতিমা বিসর্জনের কাজ। নারায়নপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের শোভা যাত্রায় অংশ নেন, মুক্তিুযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপসচিব, বাঘার কৃতি সন্তান রথীন্দ্রনাথ দত্ত। নের্তৃত্ব দেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের বাঘা উপজেলা কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার বাকু, সাধারন সম্পাদক অপূর্ব সাহা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শোভা যাত্রায় নের্তৃত্ব দেন মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।

প্রতিমা বিসর্জনের আগের দিন রোবাবার বাদ মাগরিব উপ-সচিব রথীন্দ্রনাথের আমন্ত্রনে, নারায়নপুর সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নজরুল ইসরাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান (প্রশাসন), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) মতিউর রহমান সিদ্দিকী,বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কামাল হোসেন, সিনিয়র এ.এস.পি (চারঘাট সার্কেল) নুরে আলম, বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম ও বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।

উল্লেখ্য,উপজেলার ৩৯ টি পূজা মন্ডপ ছিল আনন্দ মুখর। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ও ভাব গম্ভীর্য পরিবেশের মাধ্যমে মন্দির মন্ডপে প্রতিমা- ঘটস্থাপন এবং রোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় শারদীয় দূর্গোৎসবের পূজা অর্চনা। প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা ও নির্ভাবনায় পূজার সুযোগ ছিল বলে উৎসব মুখর দিনগুলোতে উপজেলার সকল অঞ্চলের হিন্দু ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে পূজা মন্ডপে। ফলে মিলন মেলায় পরিণত হয়, ধর্ম বর্ণ সব মানুষের। শুধু খাবার ও কেনা কাটার মধ্যে নয়, বছরের শ্রেষ্ঠ পোষাকের ভারী গয়নারও এক ধরনের প্রদশর্নী চলে পূজার অনুষ্ঠানে।

  • 151
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে