মোহনপুরে অভিযোগ দেয়ার দুই ঘন্টায় অপহরণকারী গ্রেপ্তার, ছাত্রী উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর মোহনপুরে অপহরণের অভিযোগ দায়েরের ২ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামী গ্রেপ্তার, ভিকটিম উদ্ধার। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে মোহনপুর থানায় ভিকটিমের বাবা উপজেলার সাঁকোয়া গ্রামের এনামুল হক থানায় এসে ২ জনের নাম উল্লেখ্য করে অঙ্গাত ৩ জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোহনপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক সু-কৌশলে প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করে ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন, মতিহার থানার চৌদ্দপাই গ্রামের মৃত মাসাদ আলীর ছেলে আবু করিম ওরফে রাকিব।
থানা সূত্রে জানা যায়, মোহনপুরের কেশরহাট থেকে নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে আসামী আবু করিম ওরফে
রাকিব বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে প্রেম-নিবেদন সহ কু-প্রস্তাত দিত এবং উত্তাপ্ত করতো। আসামীর কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১৪ অক্টোবর কেশরহাট হতে প্রাইভেট শেষে বাড়ী ফেরার
পথে মােহনপুর থানাধীন বাকশৈল গ্রামস্থ সিটিসেল টাওয়ারের সামনে পৌঁছাইলে আবু করিম ও কাউসার গংরা ভিকটিমকে জোরপূর্বক সিএনজি, যােগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। প্রত্যাক্ষ দর্শীদের কথার ভিত্তিতে মেয়ের বাবা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি ও আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে সময় লাগায় মামলা করতে বিলম্ব হয়। গত ২০ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে স্ব-শরীরে থানার উপস্থিত হয়ে এজাহারটি দায়ের করেন, যাহার নং ১৪।
অভিযোগ পাওয়ার পর মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বিষয়টি তাৎক্ষণিক আমলে নেন এবং ওসি তদন্ত খালেদুল রহমানের নেত্রীত্বে এসআই আমজাদ হোসেন, এএসআই রাসেদসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কালক্ষেপন না করে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে মতিহার থানার চৌদ্দপায় এলাকায় আসামীদের না পেয়ে আবারো তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগীতা নিয়ে বোয়ালিয়া থানার সাধুরমোড়ে অবস্থান নির্ণয় করে সফল অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হন। আসামীকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে তোলতে গেলে স্থানীয় বখাটে মাদক আসক্তরা আসামী পক্ষ নিয়ে পুলিশে কাজে বাধা তৈরি করে ও গাড়ি ভাংচুরের চেষ্ঠা চালায়। এহেন অবস্থায় তদন্ত ওসি খালেদুর রহমান ও এএসআই রাশেদ এর চাতুরতায় আসামীকে আটক রেখে বোয়ালিয়া থানার মোবাইল ট্রিম সহযোগীতা নিয়ে কোন রকম সংঘাত ছাড়াই বোয়ালিয়া থানায় আনতে সক্ষম হন, সেই সাথে ভিকটিমকেও উদ্ধার করে নেন। বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মনের সাথে আলোচনা শেষে মোহনপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।
এব্যাপারে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহমেদ জানান, অপহরণের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত ওসি খালেদুর রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে অভিযানে পাঠায়। আমার চৌকস বাহিনীর সফলতার সহিত তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে ভিকটিক কে উদ্ধার ও প্রধান আসামীকে গেপ্তার করে নিয়ে আসে এবং বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা চলছে। দ্রুত বাকি আসামীদেরও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। বুধবার সকালে আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ও ভিকটিম কে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্যে ওয়ান স্টপ ক্রাইসেস সেন্টারে রাখা হয়েছে।