জীবিকা ও খাদ্য এবং পুষ্টি নিশ্চিত করতে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করার দাবি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২০; সময়: ৯:২৭ অপরাহ্ণ |
জীবিকা ও খাদ্য এবং পুষ্টি নিশ্চিত করতে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ^খাদ্য দিবস উপলক্ষে দেশের সকল নাগরিকের জন্য জীবিকার নিশ্চয়তা এবং খাদ্য ও পুষ্টিঅধিকার নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছে পরিবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি), বাংলাদেশ। বড়কুঠি পদ্মার পাড়ে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনাসভা এবং গম্ভীরা গান।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে খাদ্যকে জীবনধারণের মৌলিক চাহিদা হিসাবে চিহ্নিত করা হলেও ২০১৯ সালের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচকে ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৩তম অবস্থানে রয়েছে।

অন্য দিকে গবেষকরা বলছে, করোনা মহামারী লকডাউন সময়ে দেশের প্রায় ৯৮.৩ শতাংশ দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং প্রায় ৮৭ শতাংশ দরিদ্র মানুষ পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য সঙ্কটে ভুগেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বলছে, দেশের পরিবারগুলোর আয় ২০.২৪ শতাংশ কমেছে। তাই দেশের সকল মানুষের জীবিকা, সংস্কৃতিভেদে নিরাপদ ও পুষ্টিকরখাদ্য নিশ্চিতকরার জন্য এখনই জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থার ভলেন্টারি গাইড লাইনের আলোকে দেশে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা জরুরি।

এই আইন প্রণীত হলে সকল মানুষের খাদ্য ক্রয়ের জন্য আয়, খাদ্যের যোগান এবং সংস্কৃতিভেদে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের আইনী বাধ্যবাধকতা তৈরি হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০২৬ সালে খাদ্য অধিকার বিষয়ক আইন প্রণয়নের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়গুলো থেকে এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এই আইন অবিলম্বে প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।

পরিবর্তন সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তারের সভাপতিত্বে । পরিবর্তন পরিচালক রাশেদ রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান, বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেস্টা পরিচালক ফয়েজুল্লাহ চৌধুরী, উইমেন ইন্টারপ্রেনিয়র অ্যসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ওয়েব সভাপতি আঞ্জুমান আরা পরভীন এবং মেট্রপলিটন প্রেস ক্লাবের আহবায়ক মোমিনুল ইসলঅম বাবু। কর্মসূচিতে খানি সদস্য, নারী কৃষকদের প্রতিনিধি, উন্নয়নকর্মী, সাংবাদিকগন ছিলেন।

বক্তারা আরো বলেন, আমাদের দেশে পুষ্টি অধিকারের লিঙ্গ ভিত্তিক বিবেচনায় নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ নারীই কোননা কোন অপুষ্টি জনিত জটিলতায় ভুগছেন।

১৯৯৭ সালে দেশের ৬০ শতাংশ শিশু খর্বাকৃতির ছিল, ২০১৮ সালে তা নেমে আসে ৩১ শতাংশে। তারপরও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে খর্বাকৃতির শিশু জন্মের হার এখনও বাংলাদেশে বেশি। এর মূল কারণ শিশুর মায়ের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতকরা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই সকল মানুষের খাদ্য এবং পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করতে হবে।

 

  • 17
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে