রাজশাহীতে কমেছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২০; সময়: ৩:৪২ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে কমেছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরে কিশোর বাইকারদের দৌরাত্ম্য কমেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি ফিরেছে জনমনে স্বস্তি। উঠতি বয়সী কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) শক্ত অবস্থান নেয়ায় অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯ অক্টোবর থেকে মাঠে নামে পুলিশ। মহানগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে হানা দিচ্ছেন পুলিশ।

মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরীরা আড্ডা দেয়। অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। পড়াশোনায় মনোযোগী না হয়ে অল্প বয়সে বিনোদন কেন্দ্রগুলোসহ পদ্মাপাড়ে আড্ডা দেয়ার কারণে তাদের ভর্ৎসনা করা হচ্ছে। আবার আড্ডা দিতে দেখা গেলে আটক রাখার ভয় দেখানো হচ্ছে। ফলে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের আনাগোনা কমে গেছে।

মহানগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, রাজশাহী মহানগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ যথাসময়ে অভিযান শুরু করেছে। বেপরোয়া মোটরবাইক চালানোর কারণে সবসময় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে থাকতেন সাধারণ মানুষ।

সকাল থেকে গভীর রাত অবধি মহানগরীর সব এলাকায় বেপরোয়া গতিতে প্রচণ্ড শব্দে মোটরবাইক দাপিয়ে বেড়াত কিশোর গ্যাংয়ের উঠতি বয়সী সদস্যরা। এ কারণে দুই বছরে মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে পাঁচ কিশোর বাইকার নিহত হয়।

এছাড়া ২০ জন পথচারী আহত হন। দিনে-দুপুরেও ছিনতাই করা হয়। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করত। কিন্তু শুক্রবার থেকে অভিযান চালানোর পর আগের পরিস্থিতি আর নেই।

আরএমপি সূত্র জানায়, ১০ সেপ্টেম্বর আরএমপির নতুন কমিশনার হিসেবে যোগ দিয়ে আবু কালাম সিদ্দিক মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এরই মধ্যে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। ‘বিতর্কিত’ কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। ইতোমধ্যে চার সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং ডিবি পুলিশের দু’জন ইন্সপেক্টরসহ ৩৮ জনকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ডিবির কয়েকজন ‘বিতর্কিত’ কর্মকর্তাও রয়েছেন।

আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কিশোরদের আটকের পর অভিভভাবদের সামনে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ তারা আগামী দিনে জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। যারা চিহ্নিত তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। ভবিষ্যৎতে যেন আর অপরাধে না জড়িয়ে পড়ে সে ব্যাপারে বাবা-মাকে সতর্ক করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আরএমপিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তারা যদি সংশোধন না হন তাহলে আরএমপি ছেড়ে চলে যেতে হবে।

  • 104
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে