তানোরে দুই রাতে ১২ ট্রেন্সফরমার চুরি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২০; সময়: ১১:০০ অপরাহ্ণ |
তানোরে দুই রাতে ১২ ট্রেন্সফরমার চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরেন্দ্র অঞ্চল : রাতের আঁধারে চারটি গভীর নলকূপের ১২টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ও বুধবার দিনগত রাতে রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিএমডিএর আওতাধীন গভীর নলকূপের এসব ট্রেন্সফরমার গুলো চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। নলকুপগুলো পল্লী বিদ্যুৎ চালিত।

শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাধাইড় গ্রামের বাধাইড় মৌজার একটি গভীর নলকূপের তিনটি ও একই রাতে জোতগড়ী মৌজার একটি গভীর নলকূপের তিনটি ট্রেন্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। এর দুই দিন পর বুধবার দিবাগত রাতে একই কাইদায় টেটনা পাড়া মৌজা থাকা একটি ও একই রাতে ঝিনাখোর মৌজায় থাকা আরো একটি গভীর নলকূপের তিনটি করে ৬টি ট্রেন্সফরমার চুরি করে নিয়ে যাই চোরে দল।

দুই রাতে চারটি গভীর নলকূপের ১২ টি ট্রেন্সফরমর চুরির ঘটনায় তানোর উপজেলা জুড়ে কৃষক ও গভীর নলকূপ অপরেটরদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিটি ট্রেন্সফরমার বাজার মুল্য ৫০ হাজার টাকার উপরে। যা কৃষকদের পকেটের টাকা থেকে এসব ট্রেন্সফরমার গুলো ক্রয় করে থাকেন অপরেটর গুলো। এসব চুরি হওয়া ট্রেন্সফরমার গুলোর বিষয়ে শুধু মাত্র বিএমডিএর অফিসে অভিহিত করেই দায় সেরেছেন অপরেটরেরা। ট্রেন্সফরমার চুরির বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ বা জিডি করেননি।

বাধাইড় মৌজার গভীর নলকূপের অপরেটর রজব আলী বলেন, এবার আমন মৌসুমে বৃষ্টির পানিতেই কৃষকেরা আমন চাষাবাদ করেছেন। সেচের সে রকম প্রয়োজন পড়েনি। কৃষকেরা মাঠে যাননা। এ সুযোগে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে চোরের দল তার নলকুপের তিনটি ট্রেন্সফরমার চুরি করে নিয়ে যাই। পরে দিন সকালে খবর পেয়ে বিএনডিএ তানোর জোনাল অফিসকে চুরি বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, বিএমডিএ গভীর নলকূপ অপরেটর গুলো বোরো মৌসুমে কৃষক কাছে থেকে ইচ্ছামত সেচ চার্জ আদায় করে থাকেন। অথচ অন মৌসুমে তারা আর নলকুপের বিষয়ে ট্রেন্সফরমার খোজ রাখেন না। এতে রাতে মাঠের মধ্যে থাকায় খুব সহজে চোরে চুরি করে নিয়ে যায়। আর চুরি হওয়ার পরে নলকূপ অপরেটর ও বিএনডিএ কর্তৃপক্ষ কোন ভাবে দান নেন না। এগুলো পুনোরাই কেনে আনতে ইসকিমের কৃষকদের কাছে থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হয়।

বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন,চারটি গভীর নলকূপের ১২ ট্রেন্সফরমার চুরির বিষয়ে অপরেট মোখিক ভাবে তাদের বলেছে। তাদেরকে থানায় জিডি করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন,একটি গভীর নলকূপের সবকিছু দেখার দায়িত্ব অপরেটের। অনসিজিনে সেচ নেওয়া কেউ থাকেনা। এ সুযোগে চোরের দল এগুলোকে চুরি করে অন্য জায়গায় বিক্রি করেন। অপরেটদের আগেই সর্তক করা হয়েছিল। প্রতিটি গভীর নলকূপের অপরেটদের কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে টেন্সফরমান যোগানোর জন্য বলা হয়েছিল। তবুও পুনোরাই কৃষকদের সচেতন করতে ও ট্রেন্সফরমান চুরি ঠেকাতে এলাকায় মাইকিং করা হবে।

  • 79
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে