এটি রাজশাহীর একটি সড়ক!

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২০; সময়: ১০:২৭ অপরাহ্ণ |
এটি রাজশাহীর একটি সড়ক!

আসাদুজ্জামান মিঠু : রাজশাহী মহানগরীর রেলগেট হতে যাত্রী ভর্তি করে রবিবার সকালে তানোর উপজেলার উদ্যোশে রওনা দিলো একটি যাত্রীবাহী বাস। রাজশাহী তানোর উপজেলার মধ্য রাস্তার হাদ্দো বিল নাম স্থানে হঠাৎ একটি বড় গর্তে আটকে গেলো বাসটি। চালক অনেক চেষ্টা করে গর্ত পার করতে পারলেনা। অবশেষে সকল যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হলো সেখানে।

চাকুরিজিবীসহ অনেক শিশু বৃদ্ধ,নারী ও রোগী যাত্রী ছিলেন বাসে। মাঠের মধ্যে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়াই ভোগান্তি নিয়ে গন্তবে পৌচ্ছানোর যে যার মত করে ভ্যান, অটো করে রওনা দিলেন। এমন চিত্র শুধু একদিনের নয়, প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটে রাজশাহী হতে তানোর ও আমনুরা সড়কের যাত্রীদের।

রাজশাহী জেলা শহর থেকে তানোর উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। উপজেলার প্রধান সড়ক হওয়াই কয়েক লাখ মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে জেলা শহর রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। সড়কটি এক সময় এলাকার লাখো মানুষের কাছে আর্শিবাদ হলেও এখন যন্ত্রনায় পরিণত হয়েছে।

পবা উপজেলার বাগসারার হতে তানোর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা কাপেটিং উঠে ছোট-বড় হাজারো গর্ততে পরিণত হয়েছে। আর তানোর থেকে আমনুরা ১৮ কিলোমিটার রাস্তা অনেক জায়গায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়াই যানবহন যাতায়াতে করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত গর্তে আটকা পড়ছে রাস্তার মধ্যেই।

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়াই এমন ভাঙ্গা চোরা রাস্তায় যানবহন চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। খুব দ্রত এসব রাস্তা সংস্কার না হলে অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে সকল প্রকার যানবহন। বাগধানী, দুয়ারী রাস্তায় এখন শুধু কোন রকমে বাস চলাচল করলেও অন্য যানবহন গুলো ২০ কিলোমিটার ঘুরে থানা মোহনপুর হয়ে জেলা শহরে প্রবেশ করছে। তাতে করে সময়-খরচ দুটোই বেশি লাগছে।

রাজশাহী থেকে তানোর হয়ে আমনুরা মোট রাস্তার পরিমাণ ৫০ কিলোমিটার। পবা উপজেলা বায়া থেকে বাগসারা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা কিছুটা ভাল থাকলেও ও বাগসারা হতে একেবারে আমনুরা পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার সড়ক একেবারে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।

দোয়ারী ও বাগসারার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সে কারণে এ রাস্তায় অনেক যানবহন চলাচল না করে ২০ কিলোমিটার ঘুরে কাশেম বাজার মোহনপুর থানা হয়ে রাজশাহী যাচ্ছে।

এ রাস্তায় প্রতিনিত চলা ব্সা চালক মনিরুল ইসলাম বলেন,আমনুরা থেকে বাগসারা পর্যন্ত রাস্তার এমন গর্তে সৃষ্টি হয়েছে যে ৪০ কিলো: রাস্তায় ৫০ মিনিটের আদলে সময় লাগে আড়াই ঘন্টা, তার পরেও বাস চলে হেলে দুলে। আর মুণ্ডুমালা হতে আমনুরা যেতে ভয় হয় যে বাস হয়তো রাস্তাতেই পড়ে থাকবে। এ দুই জায়গায় যাত্রীরা সে সময় দোয়া পড়তে পড়তে পার হন।

আর এ রাস্ত্য়া যাতায়াত করা যাত্রীরা দুষছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিদের। একাধিক যাত্রী জানান, উপজেলার প্রধান সড়কের হাল এমন অথচ জনপ্রতিনিধিরা কিছুই করেন না। তারা হবে হবে বলে বছর এমন কি যুগ পার করে দিচ্ছে তবুও রাস্তা সংস্কার হয়না।

তানোর উপজেলার কৃষনপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন জানান, ট্রাকে ঢাকায় মাছ বিক্রি করতে যাওয়ার জন্য ট্রাক ভাড়া গুনতে হচ্ছে দিগুন। তবু ভাঙ্গা রাস্তা মাছের ট্রাক নেয়ার সময় ট্রাকে মাছের দেয়া পানি ঝাকুনি খেয়ে পরে যাচ্ছে মাছও মরে যাচ্ছে। তাই খুব দ্রত এ রাস্তা সংস্কারে দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীন সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) তানোর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তানোর হতে আমনুরা ধামধুম ১৭ কিলোমিটার রাস্তা শুধু সংস্কারই নয়, রাস্তার দুই পাশে তিন ফিট করে সম্প্রাসরণ ও করা হবে। ইতি মধ্যে এ রাস্তার টেন্ডার আহব্বান করা হয়েছে। এছাড়াও তানোর উপজেলায় হতে রাজশাহী রাস্তার সস্কার করার কাজ প্রক্রিধীন রয়েছে।

  • 8.5K
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে