তানোরে কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আদিবাসী নারীকে মারপিটের অভিযোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২০; সময়: ৬:১৫ অপরাহ্ণ |
তানোরে কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আদিবাসী নারীকে মারপিটের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : তানোরে কু-প্রস্তারে রাজি না হওয়ায় এক প্রভাবশালীর মারপিটে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন স্বামী পরিত্যাক্তা এক আদিবাসী নারী (২১)। এঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। (১২ই অক্টোবর) সোমবার সকালে ওই প্রভাবশালীর বাড়ির সামনে থেকে গ্রামবাসীরা স্বামী পরিত্যক্তা ওই আদিবাসী নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন।

গ্রামবাসী ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন এলাকার একটি আদিবাসী গ্রামের জৈনক ব্যাক্তির কন্য স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে দীর্ঘদিন থেকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন চকনাকা শিমুলতলা নিচ পাড়া গ্রামের সাইফুদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০)। কিন্তুু শহিদুলের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে আদিবাসী ওই নারী নাচোল উপজেলার রাজবাড়ি আদিবাসী পাড়ার আমু মুর্মুর ছেলে রতন মুর্মূ (৩৪)’র সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন।

গত রোববার রাতে স্বামী পরিত্যাক্তা ওই আদিবাসী নারী তার প্রেমিক রতনের সাথে উজানার উদ্যোশে পাড়ি জমানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে শিমুলতলা নামক স্থানে শহিদুল ইসলাম তাদের দু’জনকে দেখতে পেয়ে আদিবাসী নারীকে আটকে রেখে রতনকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। এসময় শহিদুল ইসলাম স্বামী পরিত্যাক্তা আদিবাসি ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ধর্ষনে বাঁধা দিলে শহিদুল ওই আদিবাসী নারীকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে গুরুতর আহত ওই নারীর পায়ের জাং ফেটে রক্তাক্ত ছিলা ও কালশিরা ফোলা জখম হয়।

এসময় ওই নারীর চিৎকার ও চেচামেচিতে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলে শহিদুল সকলকে বলে যে এই মহিলা চুরি করতে এসেছিলো তাই তাকে আটকে রেখে মারপিট করেছি। সারারাত আহত অবস্থায় শহিদুল তার বাড়ির সামনে ওই নারী আটকে রাখেন। পরে সকালে ৭টার দিকে গ্রামবাসীসহ আদিবাসীরা গিয়ে শহিদুলের বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। বর্তমারে স্বামী পরিত্যাক্তা ওই আদিবাসী নারী তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেড়ে চিকিৎসারত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন।

এবিষয়ে কলমা ইউপি এলাকার শিমুলতলা আদিবাসী গ্রামের নারী মার্থা টুডু বলেন, শহিদুল এলাকার খুব প্রভাবশালী, দীর্ঘদিন থেকেই এই স্বামী পরিত্যাক্তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো, কিন্তুু ওই নারী অন্যজনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে রোববার রাতে তার সাথে চলে যাচ্ছিল এসময় শহিদুল তাদেরকে দেখতে পেয়ে তার প্রেমিক তাড়িয়ে দিয়ে প্রেমিকাকে আটকে রেখে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে মারপিট করে আহত করেছে।

এব্যাপারে যোগায়োগ করা হলে শহিদুল ইসলাম বলেন, রাতে তাকে চোর সন্দেহে ধরা হয়েছিলো এবং তাকে কিছু উত্তম মাধ্যম দিয়ে সকালে ছেড়ে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান।

এব্যাপারে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, এধরনের কোন কোন খবর বা অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, এবিষয়ে খোজ নেবেন বলেও জানান তিনি।

  • 2
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে