তানোরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মিজানের বিকল্প নেই

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২০; সময়: ৭:১০ অপরাহ্ণ |
তানোরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মিজানের বিকল্প নেই

সাইদ সাজু, তানোর : তিনি সরকার বিরোধী দলের নেতা হলেও উন্নয়নে একধাপ এগিয়ে। দুস্থদের বিভিন্ন ভাতা প্রদানে তাঁর রয়েছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। এছাড়া পৌর এলাকার রাস্তা-ঘাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি। ফলে দলমত নির্বিশেষে তার প্রশংসা ও জনশ্রুতি সবার উর্দ্ধে। এমন যোগ্য ব্যক্তি বারবার মেয়র দেখতে চাই পৌরবাসী।

আমশো মহল্লার বিএনপি নেতা মাস্টার বাইদুর মোল্লা বলেন, মেয়র হিসেবে পৌরসভার যোগ্য ব্যক্তি মিজানুর রহমান মিজান। তিনি বিভিন্ন ভাবে বিএনপি দলের নির্যাতিত ও নিপীড়িত নেতা। ফলে বিএনপির হাইকমান্ড তাঁকে তানোর উপজেলা বিএনপির কর্ণধর হিসেবে দেখে। তানোর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেয়র মিজান। বর্তমানে তাঁর নেতৃত্বে বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থক জিয়ে রয়েছে। এই দুঃসময়ে অর্ধশত মামলা খেয়েও দমেননি তিনি। জেল থেকে বেড়িয়ে দলের নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবসেবায় ছুটে চলেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। তাঁর ডাকে হাজার হাজার লোক উপস্থিত হন। আজও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

তানোর পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর মুনজুর রহমান বলেন, মেয়র মিজান কোন হাইব্রিড নেতা নয়। তিনি বিএনপির পরিক্ষিত একজন শহীদ জিয়ার অনুসারী ও আদর্শের সৈনিক। তাঁর নেতৃত্বে শুধু তানোর পৌর এলাকা নয়, পুরো উপজেলা বিএনপি উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ৫ জনেরও বেশি প্রচারণায় রয়েছেন। সেই হিসেবে দেখা যায়, আগামীতে যেকোন ফেয়ার নির্বাচনে মিজান আবারও মেয়র নির্বাচিত হবেন। তাতে কোন সন্দেহ নেই।

শুধু জনসেবায় নয়, বিএনপির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি মেয়র মিজানের নেতৃত্বে তানোরে বদলে ফেলা হয়েছে বিএনপির কমিটি গঠন প্রক্রিয়া। রাজপথের কর্মসূচি না থাকায় করোনাকালেও ঘরে বসে নেই তিনি। এই নেতা হাইকমান্ডের নির্দেশে এখন মূল দল ও অঙ্গ সংগঠনগুলো পুনর্গঠনে ব্যস্থ সময় পার করছেন। বেশ কয়েক মাস ধরে ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড কমিটি গঠন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

তানোর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, কেন্দ্র থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘সুপার ফাইভ’ বা ‘সুপার সেভেন’ কমিটি আর হচ্ছে না। এখন থেকে মেয়র মিজানের নেতৃত্বে কাউন্সিলররা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করছেন। কাউন্সিলের মাধ্যমে ওয়ার্ড সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক নেতা-কর্মীদের সমর্থনে নির্বাচিত করা হচ্ছে। সিন্ডিকেট কমিটি বা ‘পকেট কমিটি’ করার আর কোনো সুযোগ নেই তানোর বিএনপিতে। পরিশেষে তানোর পৌরসভার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মেয়র মিজানের বিকল্প নাই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বর্তমানে যারা মিজানের বিরোধিতা করছেন এবং আগামী নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এবং বিএনপির নমিনেশন নেয়ার জন্য ভাবছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

পৌরবাসীরা বলছেন, মেয়র মিজানের প্রয়াত মামা এমরান আলী মোল্লা প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এই পৌরসভার মেয়র ছিলেন। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন। মামার আদর্শে অনুপ্রানিত হওয়ায় জনগণ তাঁর ভাগ্নে মিজানকে নির্বাচিত করেছেন। দলমত নির্বিশেষে জনগণ মেয়র মিজানকে পছন্দ করে। ফলে মামার আদর্শে মেয়র মিজানের পথচলায় আজো পৌর চেয়ার হাত ছাড়া হয়নি। ফলে ২৫ বছর ধরে পৌর চেয়ারে নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি।

এনিয়ে মেয়র মিজানুর রহমান মিজান বলেন, শুধু পৌর এলাকা নয়, পুরো তানোর বিএনপির ঘাঁটি। এই পৌরসভার জনগণ বিএনপির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। ফলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিআরডিবির নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আব্দুস সালাম বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। আগামীতে ফেয়ার নির্বাচন হলে তাঁর বিজয় সুনিশ্চিত বলে জানান তিনি।

  • 97
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে