বাগমারায় আমেদ আলীর বিরুদ্ধে অভিনব কয়দায় প্রতারনার অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০; সময়: ১:৫৪ অপরাহ্ণ |
বাগমারায় আমেদ আলীর বিরুদ্ধে অভিনব কয়দায় প্রতারনার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের সুজনপালশা (আমপাড়া) গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে আমেদ আলী (৪৫) এর বিরুদ্ধে অভিনব কয়দায় নারী দিয়ে প্রতারনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন আমেদ আলী সু-কৌশলে এলাকার গরিব পরিবারের অসহায় অল্প বয়সী মেয়েদের সাথে অভিনব কায়দায় প্রতারনা করে আসছে। তাদেরকে মোটা অংকের অর্থের লোভ দেখিয়ে এলাকার লোক জনকে ওই মেয়ের মাধ্যমে নানা ভাবে মামলায় ফেলা এবং অনেক পরিবারে মহিলাদের সাথে সম্পর্ক করে সেখান থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতানোই তার নেশা।

গত ২৬-০৯-২০ ইং তারিখের বাগমারা থানার একটি অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, আমেদ আলী সুজনপালশা (আমপাড়া) গ্রামের মজের আলীর ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে গত ২৯-০৮-২০ ইং তারিখে ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) টাকার প্রলোভন দেন। বিনিময়ে প্রতিবেশী আফসার আলীর ছেলে আফজাল হোসেন (৩৮) এর বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী শিশু মামলা করতে বলেন। আমেদ আলীর এসব কথা মেয়েটি তার বাবা মাকে বললে বাবা মা প্রতিবেশী আফজালের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে রাজি না হলে আমেদ আলী ওই মেয়ের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন এবং পরিবারের লোকজনকে নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।

মেয়ের বাবা মজের আলী, আমেদ আলীর এসব কু-কর্মের কথা গ্রাম্য প্রধান মাস্টার নওশাদ আলী ও মজিবর রহমানকে বললে তারা আমেদ আলীর পরিবারকে অবগত করেন এবং এটির একটি সুরাহা করার চেষ্টা করলে আমেদ আলী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং পালিয়ে থেকে অসহায় ওই পরিবারটিকে নানা ভাবে হুমকি প্রদান করে। এতে করে বিপাকে পড়ে মেয়ের বাবা মজের আলী। নিরুপায় হয়ে সুজনপালশা গ্রামের মৃত পরেশতুল্লাহর ছেলে কছের আলী ও ঠাকুরপাড়া গ্রামের বাক্কার আলীকে সাক্ষী করে গত ২৬-০৯-২০ ইং তারিখে বাগমারা থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ করে কয়েকদিন পার হলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেন নি বলে জানান অভিযোগকারী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় আমেদ আলী একজন ভন্ড এবং খারাপ চরিত্রাবান ও প্রতারক, এবং তার বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় মেয়ের সাথে প্রতারনা করায় একাধিক সাধারণ ডায়েরী রয়েছে, সে সব সময় মেয়েদের নানা ভাবে প্রলোভন দিয়ে এলাকার অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে। কিন্তু কেউই তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি, তার খুটির জোর কোথাই এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এলাকার সচেতন মহল। এছাড়াও সে এলাকার সাধারন মানুষকে মামলায় ফেলে সে নিজেই মামলার তদবির করেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে বাগমারা থানার তদন্তকারী অফিসার (এসআই) রিপন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঐ বিষয়ে তদন্তে গিয়েছি এবং ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পরে আমি কোর্টে আবেদন করেছি মুন্জুর হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

  • 9
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে