বাগমারায় সাতটি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০; সময়: ৫:২৮ অপরাহ্ণ |
বাগমারায় সাতটি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাগমারা: রাজশাহীর বাগমারায় দ্বিতীয় দফা আবারো বন্যা হানা দিয়েছে। বন্যার কবলে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাহের অধিক সময় থেকে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনেই ইউনিয়ন গুলোর গ্রামে গ্রামে পানি ঢোকে মানুষ গুেেলা পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সরকারী কোন কর্মকর্তারা এখনো বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যায়নি বলে জানা গেছে। গ্রামে পানি ঢোকার কারনে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক সপ্তাহের প্রবল বৃষ্টির কারনেই দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় হাজার হাজার একর পাকা ধান, পাট, পানবরজ ও সবজি ক্ষেত বন্যায় ভেসে গেছে। এছাড়াও উপজেলার গনিপুর, বাসুপাড়া, কাচারী কোয়ালীপাড়া, দ্বীপপুর, বড়বিহানালী, ঝিকরা ও যোগীপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পানি ঢোকে পড়েছে। কোটি কোটি টাকার পানবরজ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া বন্যার পানিতে ভেসে গেছে শত শত পুকুরের মাছ। দ্বিতীয় দফার বন্যায় কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নির্ধারন করা সম্ভব হয়নি বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআ্ইও) দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

বন্যায় উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের মাধাইমুড়ি, পোড়াকয়া, শেখপাড়া, গনিপুর, দৌলতপুর ও খালিমপুর এলাকায় বাড়িঘরে পানি ঢোকে পড়েছে। মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে। গৃহপাালিত পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছে এলাকার সাধারন মানুষ। গনিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জু বন্যা কবলিত এলাকায় সব সময় নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিষয়টি সরকারের উবর্ধতন মহলকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন। বাসুপাড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর, বালানগর, মাধবডাঙ্গা, গোপালপুর, শ্যামপুর, দ্উেলা, নন্দনপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি ঢোকে পড়েছে।

অপর দিকে ঝিকরা ইউনিয়নের ঝাড়গ্রাম, ক্ষুদ্রঝিনা, নারায়নবাড়ি. রায়সেনোপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া, বারুইপাড়া, খালিশপাড়া, শিবদেবপাড়া, ভানসীপাড়া, জিয়ানন্দপাড়া, নামকামসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি ঢোকে পড়েছে। ওই এলাকার মানুষজন বাঁধের ্উপর আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে শত শত বিঘা জমির পাকা ধান। এছাড়াও সবজি ক্ষেত, পানবরজ ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বন্যা কবলিত মানুষের খোঁজখবর না নেয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বানভাসী মানুষেরা। তবে ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মানিক প্রাং বন্যা কবলিত এলাকায় বানভাসী মানুষের খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। বন্যা মোকাবিলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যোগীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। বন্যার পূর্বাস দেখেই তিনি এলাকার জনগনকে সচেতন হওয়ার জন্য প্রচারোনা শুরু করেছেন। ্আগামী কাল সোমবার থেকে তিনি তার ইউনিয়নের বন্যা কবলিত মানুষের সাথে দেখা করবেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, উপরের বৃষ্টির কারনেই বন্যার প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে দ্রুত বন্যার পানি নেমে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে