পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউপিতে ফেয়ার প্রাইজের চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০; সময়: ১১:৩৩ অপরাহ্ণ |
পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউপিতে ফেয়ার প্রাইজের চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া : রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়নে খদ্য বান্ধব কর্মসূচির ফেয়ার প্রাইজের তালিকায় ও চাউল বিতরণে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ফেয়ার প্রাইজের ২০১৬ সালে তালিকা তৈরি করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বাররা ও ডিলাররা।

সেই তালিকায় অনেকের নাম থাকলেও ফেয়ারপ্রাইজের চাউল তাদের ভ্যাগে জোটে না। আবার অনেকের নামে একাধিক কার্ড রয়েছে। যাদের নাম একাধিক আছে তারা একটি কার্ডের সুবিধা পাই। এই অনিয়মের মধ্যে দিয়েই চলছে ফেয়ারপ্রাইজের চাউল বিতরণ। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছে সংশ্লিষ্টরা।

রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আবু বাক্কার জানান, আমি একজন হতদ্ররিদ্র মানুষ আমার থাকার বাড়িটাও ভেঙ্গে গেছে। আমি একজন দিনমুজুর। আমি চলতি মাসে ১৫ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। কিন্তুু অজ্ঞাত কারণে এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের ফেয়ার প্রাইজের ডিলার মোঃ রেজাউল ইসলাম ও মোঃ সোহরাব হোসেন বিভিন্ন ভাবে দুর্নীতি করে আসছে। আমার নাম ফেয়ার প্রাইজ ৮৩৫ এ থাকার পরও আমাকে এই পর্যন্ত চাউল না দিয়ে সেই চাউল আত্নসাত করেছে। শুধু তাই নয়, একই ইউনিয়নের হাতিনাদা গ্রামের মোসাঃ আরজান বেওয়া যার কার্ড নং ৯১৯। তাকে ৫ মাস চাউল দেওয়া হয়নি। অপরদিকে নামাজ গ্রামের মোঃ রাজন আলীর নামে ১৬৭ এবং ৮০০ নম্বরের দুইটি কার্ড রয়েছে। এছাড়া দীঘলকান্দি গ্রামের মোঃ আব্দুল মালেকের নামে ৯৮ এবং ১৪১ নাম্বরে দুইটি কার্ড রয়েছে। যাদের নামে দুইটি কার্ড রয়েছে তাদেরকে একটি কার্ডের চউল দেওয়া হয় এবং অপর একটি কার্ডের চাউল আত্নসাত করেছে ডিলাররা।

বানেশ্বর ইউনিয়নে ফেয়ার প্রাইজের নতুন নিয়োগকৃত ডিলার মোঃ মাইনুল ইসলাম মহিন জানান, চলতি বছর ১৭ মে মাসে ফেয়ার প্রাইজের ডিলার নিয়োগ পাওয়ার পর তালিকা অনুযায়ী চাউল দিতে গিয়ে দেখি তালিকায় নাম থাকার পরও কয়েক জন মানুষ চাউল নিতে আসেনা। এছাড়া এক ব্যক্তির নামে একাধিক কার্ড রয়েছে। এর কারণে বর্তমানে সেই চাউল দিতে সমস্য সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।

পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ মোঃ গাজী সুলতান জানান, ২০১৬ সালের এই তালিকায় ডিলাররা কিভাবে কাছে চাউল দেয় এ বিষয় আমার জানা নাই। তবে শুনেছি অভিযোগ দিয়েছে। সেই সুষ্ট তদন্ত নেওয়া প্রয়োজন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর অফিসে গিয়ে না পাওয়ায় মোবাইল ফোনে কোন মন্তব্য করেনি। তিনি বলেন আমি দুর্গাপুর অফিসের দায়িত্বে আছি সেখানে যাচ্ছি। আগামীকাল অফিসে আসেন কথা হবে।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওলিউজ্জামান এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

  • 109
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে