রাজশাহীতে সার্জেন্টের বিরুদ্ধে হকার শ্রমিক নেতাকে মারপিটের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীর জিরো পয়েন্টে ইমদাদুল হক মিলন (৩৩) নামের এক হকার শ্রমিক নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে আরএমপির সাজেন্ট এম সনেটের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে চার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মারপিটে আহত মিলন নগর হকার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সাধারন সম্পাদক। সে নগরীর মতিহার কাজলা ফুলতলা এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে।

ঘটনা সূত্রে জানান গেছে, নগরীর মতিহার কাজলা ফুলতলা এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে ইমদাদুল হক মিলন (৩৩) এক বেলা পত্রিকা বিক্রির কাজ করেন। আর এক বেলা অটো চালান। গতকাল সোমবার বিকেলে সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ভাড়া তোলার উদ্দেশ্যে অটো নিয়ে দাঁড়ান। এ সময় ট্রাফিক এসে মিলনের অটোর গদি খুলে নিয়ে উল্টা দিকে যেতে থাকেন। বিষয়টি মিলনের নজরে আসলে সে অটো থেকে নেমে দৌঁড়ে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চান। বলেন, স্যার ভুল হয়ে গেছে। ক্ষমা করে দেন।

এই স্থানে আর কখনই গাড়ি দাঁড় করাবো না। ওই সময় আরএমপির সার্জেন্ট সনেট আসলে তাকেও একই ভাবে মিনতি করেন মিলন। কিন্তুু তাকে লাঠি দ্বারা পেটোতে শুরু করেন সার্জেন্ট সনেট। এতে মিলনের বাম পায়ের গোড়ালিতে লাঠির আঘাতে ফুলে যায়। এক পর্যায়ে সাধারন জনতার ভিড় জমে যায়। জনতার তোপের মুখে পড়ে ছেড়ে দেয়া হয় মিলনকে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরী চিকিৎসা নিতে যান মিলন।

হকার শ্রমিক নেতা মিলন জানায়, ট্রাফিক পুলিশকে চুপ করে ৫০ টাকা ধরিয়ে দিলেই তো কাহিনী শেষ হয়ে যেত। মার খেতে হতো না আমাকে।

লাঠির আঘাতে বাম পায়ের গোড়ালি ফুলে গেছে। যন্ত্রনা হচ্ছে। ডাক্তার ওষুধ লিখেছেন। এরই মধ্যে মুঠো ফোনে সাজেন্ট সনেট স্যার ফোন করেছেন। বলছেন বিষয়টি যেন কাউকে না বলি। তবে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানান মিলন।

এ বিষয়ে আরএমপির সার্জেন্ট সনেটের মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপি‘র মুখপাত্র রুহুল কুদ্দস জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হবে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।