তাহেরপুর কলেজে ‘জাল সনদে শিক্ষকতা’ সংবাদ নিয়ে প্রভাষকের ব্যাখ্যা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০; সময়: ৯:০৪ অপরাহ্ণ |
তাহেরপুর কলেজে ‘জাল সনদে শিক্ষকতা’ সংবাদ নিয়ে প্রভাষকের ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বাগমারা তাহেরপুর ডিগ্রী কলেজে জাল সনদে ১৩ বছর শিক্ষকতা’ এবং ‘নিবন্ধন সনদ জাল প্রমান হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে প্রভাষক’ সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাহেরপুর ডিগ্রী কলেজের সমাজকর্মের প্রভাষক রাশেদুজ্জামান। এক প্রতিবাদ লিপিতে প্রভাষক রাসেদুজ্জামান রাশেদ দাবি করেছেন প্রতিবেদনে তাকে নিয়ে যে তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তা সঠিক নয়। পদ্মাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রভাষক রাশেদুজ্জামান বলেন, জাল সনদে ১৩ বছর শিক্ষকতা এ তথ্য সত্য নয়। গত ৭ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। কলেজে নিয়োগ ২০০৭ সালের উল্লেখ করা হয়েছে। কলেজে যোগদান পত্রে উল্লেখ আছে আমার গত ০৫-০৯-২০১৩ সালে সকাল ১০ টায় সমাজকর্ম প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। এনটিআরসিএর সনদ যাচায়কৃত চিঠিতে জাল নিবন্ধন সনদটি তৃতীয় তম বলা হয়েছে এবং রোল নাম্বার ২২০৬০০৯৮ ব্যবহার করা হয়েছে; এসব তথ্য রাশেদুজ্জামানের না। এখানে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রকৃত শিক্ষক নিবন্ধন কলেজ/মাদ্রাসা ৯ম তম। যার রোল নাম্বার ৪০ ৯০ ৯৫ ৫৩। এ রোল নাম্বারে এনটিআরসিএর ওয়েব সাইডের অনলাইনে রয়েছে। এনটিআরসিএর অনলাইন কপি সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়া, এনটিআরসিএ বরাবর সনদ যাচায় প্রসঙ্গে অভিযোগকারি দূর্গাপুর উপজেলার গোপালপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেন নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ওই অভিযোগ সম্পর্কে তিনিও কিছু জানেন না।

রাশেদুজ্জামান বলেন, বৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করতে একটি পক্ষ চক্রান্ত করছে। তারা বে নামে আমার বিরুদ্ধে এনটিআরসিএ বরাবর অভিযোগ পাঠিয়েছে। এনটিআরসিএ থেকে সনদ যাচায় করতে কোন চিঠি বা অনুলিপি তাহেরপুর ডিগ্রী কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অথবা আমার কাছে আসেনি। এনটিআরসিএর যে চিঠির কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং রোল নাম্বার উল্লেখ করা হয়েছে যা সত্য নয়। আমার নিবন্ধন সনদটি যদি জাল হয়ে থাকতো তাহলে বর্তমান ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থায় এতো দিন চাকুরি থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে বরখাস্ত করতেন। এছাড়া নিবন্ধন সনদ জাল হলে আমি কোনভাবেই এমপিও ভুক্ত হতাম না।

তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরিবারের শন্তান। ছোট থেকে আওয়ামী লীগের রাজনিতির সাথে আমি ও আমার পরিবার সক্রিয় ভাবে জড়িত। একটি পক্ষ রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা নিতে ও সড়যন্ত্র মূলক আমার সম্মান ক্ষুন্ন করতে গনমাধ্যম কর্মীদেরকে ভুল তথ্য সরবরাহ করেছে বলেও দাবি করেন রাশেদুজ্জামান। -বাণিজ্যিক

  • 109
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে