বাগমারায় পানি নিস্কাশনের বাঁধ দেয়াই মাটির বাড়ি ঘর ভেঙ্গে পড়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০; সময়: ৯:০৮ অপরাহ্ণ |
বাগমারায় পানি নিস্কাশনের বাঁধ দেয়াই মাটির বাড়ি ঘর ভেঙ্গে পড়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের চাঁপড়া মোহাম্মাদপুর গ্রামে বর্ষার পানি জমে ১৫/২০ মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আরো বেশ কিছু বাড়ি ঘর ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। কতিপয় স্বার্থন্মেষী মহল গ্রামের মধ্যে জমে থাকা বন্যা ও বৃষ্টির পানি নামার পথ বন্ধ করে দেওয়ায় সেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

আর এই পানিতে ওই গ্রামের প্রায় ১৫/২০ টি হতদরিদ্র পবিবারের মাটির বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়েছে । ফলে ওই সব পরিবারের সদস্যরা এখন বাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। এ নিয়ে হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাছে অভিযোগ দিয়েছে।

গ্রামবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, গনিপুরের চাঁপড়া মোহাম্মাদপুর গ্রামে এসব অতিবর্ষন ও বন্যার ফলে গ্রামের বন্যার পানি প্রবেশ করে। পরে বন্যার পানি কমতে থাকলে গ্রামের মধ্যে জমে থাকা পানি নামার একমাত্র পথটি বন্ধ করে দেয় প্রভাবশালী আব্দুল হান্নান ও তার লোকজন। এতে পানি নামার পথটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে দীর্ঘ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই জলাবদ্ধতায় সেখানে জমে থাকা পানিতে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দূষিত এই পানিতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়ে আশেপাশের বাড়ির হাঁসমুরগি গুলো মরে যাচ্ছে।

গতকাল রবিবার সরেজমিনে ওই এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ২০/২৫ টি পরিবার পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। তারা সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবেতন জীবন যাপন করছে। তারা বন্ধ করা জায়গা বার বার কেটে দিতে গেলে সেখানে লাঠিসোটা নিয়ে পাহারা বসানো হান্নানের লোকজন তাদেরকে তেড়ে আসে। পরে ভুক্তভোগি পরিবার গুলো পানি নিষ্কাশনের জন্য বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জুকে অবহিত করলে তিনি সেখানে পানি নামার জন্য একটি ড্রেন তৈরি করে দেন ।

কিন্তুু কিছুদিন যেতে না যেতেই প্রভাবশালী হান্নান গং ড্রেনটির মুখ বন্ধ করে দেয়। জলাবদ্ধতার শিকার গ্রামের ভুক্তভোগি জনাব আলী, শওকত আলী,মকবুল হোসেন, আনিছুর রহমান, জমিরুদ্দিন, মোকলেছেুর রহমান, আকরাম হোসেন সহ ১০/১২ জানান, জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের অনেকের বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। সেখানে আমরা আর বসবাস করতে পারছি না। আমরা নিরুপায় হয়ে সেখানে ড়্রেেনর মুখ খুলে দিতে গেলে হান্নান ও তার লোকজনেরা বাঁধা প্রদান করে চলেছে।

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ হান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমাদের লোকজনেরা পুকুরটি লীজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছি। কিন্তুু সেখানে ওই বিষাক্ত পানি পুকুর হয়ে বিলে নামার পথ করে দিলে আমাদের পুকুরের মাছ মারা যাওয়ায় সম্ভাবনা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড মরিরুজ্জামান রঞ্জু জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে বার বার নিস্পত্তির চেষ্টা করে যাচ্ছি।

পুকুর লীজ গ্রহনকরাীদের বাড়াবাড়ির কারণে কয়েকটি পরিবারের মাটির ঘর ভেঙ্গে গেছে। অনেকের বাড়ির ও ঘরের মধ্যে পানি প্রবেশ করায় তারা দূর্বিসহ জীবন জাপন করছে। বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে নিস্পত্তির জন্য আবারও উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে।

  • 14
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে