রাজশাহীতে ইউপি নির্বাচনের তোড়জোড়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০; সময়: ৯:৪৪ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে ইউপি নির্বাচনের তোড়জোড়

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী বছরের মার্চে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। নির্বাচন কমিশন বলছে, চলতি বছরের নভেম্বর থেকে সব নির্বাচন যথানিয়মে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের উপযোগী ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা চেয়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এদিকে, ইউপি নির্বাচন নিয়ে তোড়জোর শুরু হয়েছে রাজশাহীর পাঠ পর্যায়ে। নড়েচড়ে উঠেছে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। অনেকই আগাম প্রচার প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। চায়ের কাপে নিজের প্রার্থীতা হওয়ার বিষয় তুলে ধরছেন অনেকেই।

রাজশাহীতে ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৭২টি। এর মধ্যে পবা উপজেলায় আটটি, দুর্গাপুরে সাতটি, মোহনপুরে ছয়টি, চারঘাটে ছয়টি, পুঠিয়ায় ছয়টি, বাঘায় সাতটি, গোদাগাড়ীতে নয়টি, তানোরে সাতটি ও বাগমারায় ১৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। ৭২টি মধ্যে ৬৮ ইউপির মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের মার্চ থেকে জুনের মধ্যে।

জানা গেছে, আগামী মার্চে দেশের ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ অধীন ইউনিয়ন পরিষদগুলোর তথ্য জানতে চেয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ জেলা প্রশাসকদের চিঠি পাঠায়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ২৯ (৩) ধারা অনুযায়ী, পরিষদ গঠনের জন্য কোনো সাধারণ নির্বাচন ওই পরিষদের জন্য অনুষ্ঠিত পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ থেকে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের মার্চ থেকে জুন মাসে ছয় ধাপে সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদসমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, সেই অনুযায়ী ২০২১ সালের মার্চ থেকে ইউনিয়ন পরিষদসমূহের পর্যায়ক্রমে মেয়াদ পূর্তি হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে নির্বাচন উপযোগী ইউনিয়ন পরিষদসমূহের নামের তালিকা ১০ কার্য দিবসের মধ্যে আবশ্যিকভাবে পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ছক মোতাবেক জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নাম, সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ, প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ, নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিন শুরু হওয়ার তারিখ, নির্বাচনের তারিখ থেকে মেয়াদ শেষের তারিখ (নির্বাচনের তারিখ থেকে ৫ বছর) এবং সীমানা বা মামলা-সংক্রান্ত অন্য কোনো জটিলতা আছে কিনা, সেটা জানতে চাওয়া হয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে বিশেষ বাহক মারফত প্রয়োজনীয় তথ্যের হার্ড কপি এবং পেনড্রাইভে সফট কপি পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • 228
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে