রাজশাহীতে উচ্ছেদের কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফের দখল

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০; সময়: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে উচ্ছেদের কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফের দখল

নিজস্ব প্রতিবেদক : অভিযানের পরও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফুটপাত দখল করে চলছে হোটেল-দোকান। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে গত বুধবার দুপুরে উচ্ছেদ অভিযান চালান। দোকানগুলো উচ্ছেদের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দখলদার দোকানিরা আবার ফিরে আসে।

এমনকি হাসপাতালে বহির্বিভাগের কাছে গণশৌচাগারের সামনের অংশে দোকান করায় যে দোকানিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল, দুই ঘণ্টার মধ্যে না উঠলে তাঁর ২০ হাজার টাকা জরিমানা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তিনিও রয়ে গেছেন বহাল তবিওতে।

হাসপাতালের সামনের ফুটপাত দিয়ে কখনোই পথচারীরা হাঁটার সুযোগ পান না। কিছুদিন পরপর ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করার জন্য অভিযান চালানো হয়। তবে পরের দিন থেকে আবার দখলদারেরা এসে ফুটপাতে দোকান খুলে বসেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতোই হোটেলে রান্নাবান্না চলছে। হোটেলের সামনে হেঁটে যাওয়া পথচারীদের উদ্দেশে হাঁকডাক ঠিক আগের মতোই শোনা যাচ্ছে। একটি হোটেলের মালিক সোহেলকে বুধবার ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তার দোকানেও ধুম বেচাকেনা চলেছে। হোটেলের সামনে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে একজন নারী কর্মচারী রুটি তৈরি করছেন।

দেখা গেল, বুধবার অভিযানের সময় যাঁরা রাস্তার দক্ষিণ পাশের বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের প্রাচীরের ওপর দিয়ে মালামাল ফেলে দিয়েছিলেন, তাঁরাও আবার দোকান মেলে বসেছেন। আর যাঁরা মালামাল নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা কয়েক ঘন্টা পর দোকান খোলা শুরু করেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে গণশৌচাগারের সামনে যে দোকান পরিচালনা করা হচ্ছিল। বুধবার বেলা সোয়া ২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সে দোকানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তখন দোকানের কর্মচারী মো. দুলাল আলী দুই ঘণ্টার মধ্যে দোকান সরিয়ে নেওয়ার কথা বলে মুচলেকা দিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না সরালে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

কিন্তু শুক্রবার সকালে দেখা যায়, দোকানটি সেখানেই রয়ে গেছে। তবে দোকানের কর্মচারী বদল হয়ে গেছেন। দোকানে বসে ছিলেন কর্মচারী মোহাম্মদ আলী। দুই ঘণ্টার মধ্যে দোকান সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি চুপ করে থাকেন। তবে গণশৌচাগারের ভেতর থেকে কোমল পানীয়ের বোতলগুলো সরানো হয়েছে। সেখানে শুধু প্যাকেটগুলো রাখা আছে।

রাসিকের ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল বলেন, অসুবিধা নেই। যতবার বসবে ততবার জরিমানা করা হবে। গত বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪১টি দোকানে ১ লাখ ৫ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয় বলেও জানান তিনি।

  • 40
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে