বাগমারায় বিদেশ পাঠানোর নামে পৌনে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০; সময়: ৩:২৭ অপরাহ্ণ |
বাগমারায় বিদেশ পাঠানোর নামে পৌনে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র!

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাগমারা হাট গাঙ্গোপাড়া এলাকায় মালয়েশিয়া পাঠানোর নাম করে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছে নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।

প্রতারণার শিকার নুরুল ইসলাম উপজেলার হাতরুম পাঁগুড়িয়া গ্রামের মৃত মনির সরদারের ছেলে। নুরুল ইসলামের ছেলে কে মালয়েশিয়া পাঠাতে না পারলেও তার টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টা তাকে মারপিটের হুমকি দিচ্ছে ওই প্রতারক চক্র। নিরুপায় হয়ে নুরুল ইসলাম গত ৪ সেপ্টম্বর হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বরাবর ৪ জন প্রতারকের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানান গেছে, উপজেলার পাঁগুড়িয়া গ্রামের মৃত দিনু সোনার ছেলে ও ইমাজ সোনার ছেলে ও পিয়ার আলী পিন্টু এবং সুরুত আলী ও হাট গাঙ্গোপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে সাজেদুর রহমান সাজুর সাথে কথা হয় ইমাজ সোনার ছেলে পিয়ার আলী ও নুরুল ইসলামের ছেলে শামিম সরদার কে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রস্তাব দেয় তারা। নুরুল ইমাজ সোনার প্রস্তাবে রাজি হয়ে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা চুক্তি হয় নুরুলের সাথে তাদের। সেই টাকার মধ্যে প্রথম মেয়াদে ইমাজ সোনার ও সুরুত আলীকে এক লক্ষ টাকা দেয়ার কথা বলে নুরুল কে সাজেদুর রহমান সাজু। তাদের কথা মতো নুরুল গত ২০-০৪-২০১৬ ইং তারিখে হাট গাঙ্গোপাড়া এলকার মৃত ওসমান আলীর ছেলে শামসুল আলম ও মৃত গয়ের আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ও তার ভাই আবু বাক্কার সিদ্দিকের উপস্থিতিতে এক লক্ষ টাকা প্রদান করে নুরুল।

তার কিছু দিন পরে সাজেদুর রহমান সাজু গত ১০-০৫-২০১৬ ইং তারিখে একটি কাগজ নুরুলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে আরও এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে সাজু। তার কথা মতো নুরুল তার জমি বন্ধক রেখে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ইমাজ ও পিয়ার এবং সাক্ষীদের সাথে নিয়ে সাজুকে প্রদান করে নুরুল।

পরবর্তীতে সাজু নরুলের ছেলেকে মালয়েশিয়া পাঠানে ব্যর্থ হয়। নুরুল সাজুর কাছে থেকে তার দেয়া টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন রকম টাল বাহানা শুরু করে সাজু। এক পর্যায় গত ২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৬ টার দিকে প্রতারণার শিকার নুরুল, তার স্ত্রী, ছেলে এবং সাক্ষীদের নিয়ে সাজুর বাড়িতে টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টা সাজু তাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও উত্তেজিত হয়ে নুরুলকে মারপিট কার হুমকি দেয়। ছেলে কে বিদেশ পাঠানোর জন্য টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নুরুল। নিরুপায় হয়ে হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ে করেন।

এ বিষয় সাজেদুর রহমান সাজুর মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয় হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, অভিযোগটি বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর দিতে বলেছিলাম নুরুল ইসলাম কে। তার পরেও তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতিক্রমে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

 

  • 71
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে